মাশরাফির ‘ফ্যাবুলাস ফোর’

Looks like you've blocked notifications!

মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পরশ পাথর বলতেই পারেন আপনি। খেলোয়াড়ি জীবনে যেখানেই হাত রেখেছেন, সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন তিনি। তাঁর ছোঁয়াতেই বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র। হারটাকে অভ্যাসে বানিয়ে ফেলা বাংলাদেশ জাতীয় দলকে টানা জয়ের মন্ত্র পড়িয়েছিলেন মাশরাফিই। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর বিপিএলের পাতায় পাতায় মাশরাফির জয়ের কাহিনী বর্ণিত। এবার তাঁর নেতৃত্বে বিপিএলের শিরোপা জিতেছে রংপুর রাইডার্স। এর আগেও অধিনায়ক হিসেবে এই ট্রফিটা তিনবার উঁচিয়ে ধরেছেন ‘দ্য ক্যাপ্টেন’।  

২০১২ সালে বিপিএলে প্রথম আসরে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সকে শিরোপা জেতান মাশরাফি। সেবার বরিশাল বার্নার্সকে হারায় মাশরাফির দল। সেবার শিরোপার অন্যতম দাবিদারও ছিল বরিশাল। দারুণ খেলছিল দলটি। ঢাকার মাঠে খেলেই সেবার তারকা বনে যান আহমেদ শেহজাদ। সেবার পরের বছরও ম্যাশের ওপর আস্থা রাখে গ্লাডিয়েটর্সরা।

২০১৩ সালের ফাইনালে মাশরাফির ঢাকা হারায় টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা চিটাগং কিংসকে। জয়সুরিয়া, জেসন রয়, রবি বোপারা, রায়ান টেন ডেসকাটের দলকে ফাইনালে সহজেই হারায় মাশরাফির ঢাকা।

তৃতীয় আসরে মাশরাফিকে আর রাখেনি ঢাকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ডায়নামাইটস। দেশি তারকাদের নিয়ে সেবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে জেতান মাশরাফি বিন মুর্তজা। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ অধিনায়কত্ব করেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

গত বছর শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি কুমিল্লা। সেই কারণে মাশরাফিকে দলে রাখেননি দলটি। এবার ম্যাশকে দলে ভেড়ায় রংপুর রাইডার্স। সেই সঙ্গে ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো তারকাকেও ভেড়ায় দলটি। তবে দেশি তারকা খুব একটা বেশি ছিলেন না দলটিকে। যাঁরাও ছিলেন, তাঁদের অনেকেই ঠিকমতো জ্বলে উঠতে পারেননি।

ব্যাটে-বলে দেশি তারকাদের অভাবটা পুষিয়ে দেন মাশরাফি। কয়েকটি ম্যাচে ব্যাট হাতে একাই দলকে জেতান ম্যাশ। আর পুরো টুর্নামেন্টে বল হাতে মাশরাফির মতো কার্যকরী পেসার ছিল না আর একজনও। টুর্নামেন্টে বল হাতে দারুণ কৃপণ ছিলেন তিনি। প্রতি ওভারে মাত্র ৬.৬৮ রান দিয়েছেন তিনি। পেসারদের মধ্যে এত কম ইকোনমি রেট নেই আর কারো। নিয়েছেন ১৫ উইকেট।

রংপুর যে এবার শিরোপা জিতেছে সেটা মাশরাফির অসাধারণ নেতৃত্বের ফল। এ ছাড়া বল হাতে ১৫ উইকেট আর ব্যাটে ১৩১ রান ম্যাশের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের চিত্রই বর্ণনা করছে।