হকির অচলাবস্থা কাটাতে নতুন উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!
সমস্যা নিরসনে ফেডারেশন ও চারটি ‘বিদ্রোহী’ ক্লাবের কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন। ছবি : ফেসবুক

প্রায় দুই বছর আগে নির্বাচনের পর থেকেই হকি ফেডারেশন সমস্যায় আক্রান্ত। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নেতৃত্বে চারটি ক্লাব বর্তমান কমিটির অধীনে না খেলার সিদ্ধান্তে অনড়। গত মে মাসে এই অচলাবস্থা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। সে সময় ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ও ‘বিদ্রোহী’ চারটি ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও ঊষা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রশিদ শিকদারকে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী।
 
রশিদ শিকদারের উদ্যোগে বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে চারটি ক্লাব এবং ফেডারেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা এক মতবিনিময় সভায় বসেছিলেন। তবে যাঁকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি জটিলতা, ফেডারেশনের সেই সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ এই বৈঠকে ছিলেন না।
 
সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা রশিদ শিকদার বৈঠক শেষে আশার বাণীই শোনালেন, ‘আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়েই একটা স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে চাই। সে জন্য যে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। হকিকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আমরা পদত্যাগ করব।’
 
হকিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী বলেন, ‘হকি এখন একটা ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান অচলাবস্থা দূর করে একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সে জন্য সবাইকে একসঙ্গে মাঠে নামতে হবে।’
 
মোহামেডানের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া অবশ্য বর্তমান কমিটির অধীনে না খেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি, ‘আমরা আগেও বলেছি, মোহামেডান ক্লাব খেলার বিপক্ষে নয়। আমাদের খেলায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ফেডারেশনকেই নিতে হবে। তবে আমি এখনো বলছি, এই কমিটির অধীনে আমরা খেলব না।’
 
খাজা রহমতউল্লাহর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মেরিনার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল্লাহ খান রানা বলেন, ‘সমস্যার সমাধান হলে আমরা এখনই দলবদলে অংশ নেব। প্রয়োজনে ঈদের পরই মাঠে নামব। তবে সমাধানের পথ বের করতে হলে বর্তমান সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে হবে। আশা করি দুতিন দিনের মধ্যেই একটা সমাধানের পথ বের হবে।’
 
ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আনভীর আদেল খান অবশ্য নিজেদের সফলতা দাবি করলেন, ‘আমাদের কমিটির যে অনেক সাফল্য আছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সাধারণ সম্পাদকের কিছু ত্রুটি হয়তো থাকতে পারে, কিন্তু তাঁকে ব্যর্থ বলা যাবে না। অবশ্য আমি সমাধানের বিপক্ষে নই। সবাই মিলেই সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।’