রাজ্জাক-তুষারও আছেন জাতীয় দলের বিবেচনায়

Looks like you've blocked notifications!

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তুষার ইমরান। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবদুর রাজ্জাকও প্রথম শ্রেণিতে তুলে নেন ৫০০তম উইকেট। এর আগে কেউ এই রেকর্ড করতে পারেননি।

এদিকে তুষার শুধু ১০ হাজার রানই নয়, সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, ১৫৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিও হাঁকান তিনি। ২৬টি সেঞ্চুরি করেন পাঁচটি টেস্ট ও ৪১টি ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে এত ভালো নৈপুণ্যের পরও জাতীয় দলে বারবার উপেক্ষার শিকার হচ্ছেন অভিজ্ঞ এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে আগামীতে তাঁদের জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বলেছেন, “ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজ্জাকের মতো যারা পারফর্ম করে আসছে, ভবিষ্যতে তাদের সুযোগ অবশ্যই থাকবে। যারা পারফরম্যান্স করছে, তাদের জন্য একটা মঞ্চ, ‘এ’ দল আছে। জাতীয় দলে যাওয়ার আগে তো তাদের একটা মঞ্চ দিতে হবে। সেই হিসেবে আমাদের মাথায় আছে। সামনে দেখা যাক।”

অথচ আবদুর রাজ্জাক ছয় ম্যাচে  ৩৮ উইকেট নিয়ে গতবারের বিসিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন। তারপরও তিনি জাতীয় দলে উপেক্ষিত ছিলেন।

অবশ্য নান্নু মনে করেন না, প্রথম শ্রেণিতে ভালো খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সহজ। আন্তর্জাতিক ফরম্যাট ও ঘরোয়া লিগ সম্পূর্ণ আলাদা। ঘরোয়া লিগ খেলাটা যেমন তুলনামূলক সহজ, তেমনি আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। নান্নু বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন যে, ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক ব্যবধান আছে। শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে, কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন। আপনি দেখবেন বিসিএলের গত রাউন্ডে একটা ভেন্যুতে সাতটা সেঞ্চুরি হয়েছে। উইকেটের কন্ডিশনও কিন্তু দেখতে হবে।’