ঢাকা টেস্টে কেমন করবে বাংলাদেশ?

Looks like you've blocked notifications!

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সামনে ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। পুরো একটা দিন উইকেটে শেকড় গেঁড়ে পরাজয় এড়ানোর লড়াই। মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি, আর লিটন দাসের ৯৪ রানের চমৎকার দুটি ইনিংসের ওপর ভর করে চ্যালেঞ্জটা উৎরে গেছে স্বাগতিকরা। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে মাহমুদউল্লাহর দল তাই হয়তো কিছুটা আত্মবিশ্বাসী।

টেস্ট সিরিজটা শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের অবস্থাটা ছিল একটু নাজুকই। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালসহ শেষ দুই ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে হেরেছে তারা। সঙ্গে চোটে আক্রান্ত হয়ে টেস্ট সিরিজ থেকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ছিটকে যাওয়া দলের মনোবলে অনেকটাই চিড় ধরেছে। অবশ্য জোড়া সেঞ্চুরিতে মুমিনুল হক বাংলাদেশকে জয়ের সমান ড্র এনে দিয়েছেন।

সাগরিকার মাঠের উইকেটটা ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ছিল আলোচনায়। ম্যাচ শেষেও আলোচনায় ছিল বাইশ গজের পিচটাই। প্রত্যাশামতো বল তো ঘোরেইনি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সঙ্গে পুরো পাঁচদিনই উইকেট সাহায্য করে গেছে ব্যাটসম্যানদের। এর জন্য চট্টগ্রামের মাঠকে ‘গড়পড়তা’ তকমার সঙ্গে পেতে হয়েছে ডিমেরিট পয়েন্টও।

মিরপুর শেরেবাংলার মাঠও পেয়েছিল ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে যে টেস্টের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল হোম অব ক্রিকেটকে সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

‘বাজে আউটফিল্ডের’ জন্য আইসিসির কাছ থেকে তিরস্কার পাওয়া উইকেটটা কিন্তু ছিল একদম স্পিনবান্ধব। সেবার স্পিনেই বাংলাদেশ ঘায়েল করেছিল ডেভিড ওয়ার্নারদের। আরেকটু অতীতে গেলে অসিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠের আগের টেস্টেই বাংলাদেশ রীতিমতো নাকানি-চুবানি খাইয়েছিল ইংলিশদের। তাই এই মাঠটা যে বেশ ‘পয়া’ বাংলাদেশের জন্য তেমনটা কিন্তু বলাই যায়।

লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্ট বাংলাদেশ শেষ করেছে ড্র এবং জয় দিয়ে। কলম্বোতে গেল বছর তাদের মাঠেই নিজেদের শততম টেস্টে সাকিব-তামিমরা হারিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিকদের। এবার ঘরের মাঠের প্রথম লড়াইয়ে এসেছে ড্র। এখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি এসেছে টাইগারদের সামনে।

অবশ্য পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বাংলাদেশকে একটু হতাশই করবে। ১৯ টেস্টে এক জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ লঙ্কানদের বিপক্ষে হেরেছে ১৫ ম্যাচে, বাকি ৩ ম্যাচ হয়েছে ড্র। অবশ্য পরিসংখ্যানে চোখ রেখে এগোনোটা একটু কঠিন এখন। বাংলাদেশ এখন আর সেই আগের দলটি নেই। লড়তে জানা বাংলাদেশকে খুব ভালোভাবেই চেনে শ্রীলঙ্কাও।

গত বছর মার্চে নিজেদের মাটিতে শেষ দেখায় শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে সিরিজ সমতা করেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে।

তবে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বেশ ভালো জায়গায়। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে এই ম্যাচে ভালো কিছু করতেও পারে।