ব্রাজিল নাকি পিএসজি, কোনটা বেছে নেবেন নেইমার?

Looks like you've blocked notifications!

ক্লাব ফুটবল নাকি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল? কোনটাকে প্রাধান্য দেবেন ফুটবলাররা? ক্লাবে টাকার অঙ্ক যত বেশিই হোক না কেন, জাতীয় দলের প্রশ্নে ছাড় দিতে রাজি থাকেন প্রায় সব ফুটবলারই। কিন্তু ক্লাবে খেলার জন্য যদি জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে কি সেটা মেনে নেওয়ার মতো ব্যাপার হবে? সেটাও যদি আবার হয় বিশ্বকাপের মতো আসরে?

তেমনটাই ঘটতে যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের সঙ্গে। মার্শেইয়ের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগের সর্বশেষ ম্যাচে চোট পান ব্রাজিলের অন্যতম ভরসা। ডান পায়ের পাতার হাড় ভেঙেছে, গোড়ালিও ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে বাজেভাবে।

ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছে, মে মাসের আগে নেইমারের সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে তাঁর। সে ক্ষেত্রে সারতে ন্যূনতম দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে। অনেক ক্ষেত্রে তিন মাসও লেগে যেতে পারে। যদিও বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন নেইমার। তবে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার কারণে বিশ্বকাপের সময় পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে কি না, সেই শঙ্কা থেকেই যাবে।

ব্রাজিল শিবির থেকে বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই তারকার অস্ত্রোপচার করা উচিত। তাতে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির জন্য অন্তত এক মাস সময় পাবেন এই ফরোয়ার্ড।

তবে নেইমারের অস্ত্রোপচারের ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছেন না পিএসজি কোচ উনাই এমেরি। মৌসুমে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়কে  দলে ভিড়িয়ে এত লম্বা সময়ের জন্য হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না তারা। নেইমারের ফেরার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী এমেরি। নেইমারের অস্ত্রোপচারের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘নেইমারের অস্ত্রোপচারের বিষয়টি সত্যি নয়। আমি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জানি কী হতে চলেছে। আমরা তাঁর আরোগ্য লাভের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা শান্ত আছি এবং আগামী কয়েক দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছি।’

স্প্যানিশ গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হাড় জোড়া লাগিয়ে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে ব্যথার ট্যাবলেট খেয়ে মাঠে নামতে পারবেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে তাতে ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নেইমারের জন্য অস্ত্রোপচার করাটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত হবে। সাময়িক আরোগ্য লাভের চিন্তা করলে বিশ্বকাপটাও অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে নেইমার।

১৪ জুন রাশিয়ায় শুরু হবে বিশ্বকাপের আসর। গত বিশ্বকাপের আসরে নেইমারবিহীন দলটি সেমিফাইনালেই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এবার অনেক কিছু নির্ভর করবে নেইমারের সিদ্ধান্তের ওপর। কোনটাকে প্রাধান্য দেবেন তিনি—ক্লাব ফুটবল, নাকি জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ?