এটাই ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস : মাহমুদউল্লাহ
রানের হিসেবে ইনিংসটা খুব বেশি বড় ছিল না। মাত্র ৪৩ রানের। কিন্তু যাঁরা এই খেলাটির সাক্ষী হয়েছিলেন প্রত্যক্ষভাবে, তাঁরা খুব ভালোমতোই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন সেটির মাহাত্ম্য। মাত্র ১৮টি বল খেলার জন্য যে সময়টুকু মাহমুদউল্লাহ মাঠে ছিলেন, তার প্রতিটা মুহূর্তে তিনি জন্ম দিয়েছেন দুর্দান্ত সব রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে খেলা ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটিকেই তাই ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসের আসনে বসালেন মাহমুদউল্লাহ।
গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ এক জয় নিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। বাংলাদেশ চাপের মুখে খেলতে পারে না- এমন জনশ্রুতিকে হাতের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে ছয় মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন দুঃসময়ে জ্বলে ওঠা এই কাণ্ডারি। তাঁর ১৮ বলের অপরাজিত ৪৩ রান দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। মাহমুদউল্লাহ নিজেও এই ইনিংসকে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ম্যাচের পর অভিজ্ঞ এই তারকা বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। তবে সাকিবের ফিরে আসা আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। পরিকল্পনা ছিল বলকে যত শক্তি দিয়ে পারব মারার চেষ্টা করব।’
১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক সাকিব ফিরে গিয়েছিলেন ১৮তম ওভারের শেষ বলে। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন জমা হয়েছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৩ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেই কথাই স্মরণ করেছেন তিনি। এমনকি শেষ মুহূর্তের ঘটনাটিও ভুলে যেতে চান অভিজ্ঞ এই তারকা। তিনি বলেন, ‘সাকিবের বিদায়ের পর আমি চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। যেই ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল এটা আসলে সব কিছু চরমে পৌঁছাতেই এমনটি হয়েছে। তবে আমাদের সেগুলো ভুলে যাওয়া উচিত। খেলায় এমনটি হয়েই থাকে।’