‘ক্রিকেটারদের হয়েই লড়ি আমরা’

Looks like you've blocked notifications!

শেরেবাংলার জিমনেশিয়ামে গতকাল বুধবার হঠাৎই দেখা মিলেছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের দেখভাল করার সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) চলার পথ আরো গতিশীল কীভাবে করা যায় সে নিয়েই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন ক্রিকেটাররা।

ঘরোয়া ক্রিকেটের পারিশ্রমিক তো আছেই, তা ছাড়া ক্রিকেটারদের পছন্দ নয় ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতি। তবে সরাসরি কিছু বললে বোর্ড ও ক্লাবগুলোর রোষের মুখে পড়তে হবে ক্রিকেটারদের। তাই তাদের হয়ে কোয়াব কথা বলবে, দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে এমনটাই চাওয়া ক্রিকেটারদের।

কোয়াবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে দুজন ব্যক্তি হলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় ও খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে এই দুজনই জড়িত রয়েছেন বোর্ডের সঙ্গে। ফলে কোয়াবের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্রিকেটাররা পাচ্ছে না তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক। সেক্ষেত্রে কোয়াব অনেকটা নিশ্চুপই বলা যায়।

উপায়হীন ক্রিকেটাররা বঞ্চিত হয়েও বাধ্য হয়ে মেন নেন সবকিছুই।

কিন্তু জাতীয় দলের ম্যানেজার ও বোর্ড পরিচালক সুজন বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে ক্রিকেটারদের হয়ে যুদ্ধটা করেন তাঁরাই, ‘আমরা যে বোর্ডের সঙ্গে লড়াই করি না এটা ঠিক না। জাতীয় দলের বেতন বেড়েছে এই বোর্ড আসার পর। এটা কিন্তু লড়াই করেছি বলেই হয়েছে। আকরাম ভাই, জালাল ভাই, মাহবুব ভাই; যাঁরাই আছেন আমরা কিন্তু লড়াই করি। আমরা বোর্ডে আছি বলেই তারা এত সুবিধা পাচ্ছে। আমরা বোর্ডে না থাকলে ক্রিকেটাররা কিছুই পেত না। এটুকু বলতে পারি আমি, দুর্জয় বোর্ড মিটিংয়ে থাকি বলেই কথাগুলো বলতে পারি।’

তবে ক্রিকেটারা যদি নিজেদের সংগঠনের দেখভাল নিজেরাই করতে চায় সেক্ষেত্রেও তাদের জন্য শুভকামনাই জানাচ্ছেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘সভা হয়েছে শুনলাম। যদি ওরা কোয়াবে আসতে চায়, আসবে। ওরা যদি মনে করে আমরা ওদের প্রতিপক্ষ, সাহায্য করছি না। এটা করলে ভুল হবে। তারপরও আমি বলব, ওরা বড় হয়েছে। এটা ওদের খেলা, ওরা সিদ্ধান্ত নেবে।’