শুরুর দিনেই বিসিএলে দুই সেঞ্চুরি

Looks like you've blocked notifications!

আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে  বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের(বিসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। শুরুর দিনেই বিসিএল দেখল দুই সেঞ্চুরির সাথে দুটি সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়ার ইনিংসও। তুষার ইমরান আর শাদমান ইসলামের শতকের দিনে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন সাইফ হাসান ও ফজলে মাহমুদ।

শাদমান ইসলাম আর সাইফ হাসানের ব্যাটে প্রথম দিনশেষে ভালো অবস্থায় রয়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। চারদিনের ম্যাচে প্রথম দিনশেষে মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ তিন উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান। দিনের শেষে মাত্র সাত রানে তিন উইকেট না হারালে হয়তো বা আরো ভালো অবস্থানে থাকতে পারত দলটি।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমে ব্যাটিং পেয়েছিল মধ্যাঞ্চল। উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে ২০০ রানের জুটি উপহার দিয়ে প্রথমে ফিরেছেন সাইফ। শতক থেকে ছয় রান দূরে ৯৪ রানে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ফিরেছেন আক্ষেপ নিয়েই। দারুণ ধৈর্যশীল ইনিংসে ২৪৩ বলে ১২ চার আর এক ছক্কায় ৯৪ রান করেছেন সাইফ।

অন্যপ্রান্তে থাকা শাদমান অবশ্য তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতক। ২৩৯ বলে নয় চারে  ১০৭ রানে ফেরেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে সদ্য সমাপ্ত ডিপিএলে দারুণ ব্যাটিং করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

দিনের অন্য ম্যাচে দারুণ শুরু পেলেও দিনের শেষে এসে প্রাইম ব্যাংক মধ্যাঞ্চলের সেই সূচনা মিইয়ে গেছে দ্রুত তিন উইকেট পতনে। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ সাত উইকেটে ২৯৯ রান। মাত্র ছয় রানেই ফিরে গেছেন দক্ষিণাঞ্চলের শেষ তিন ব্যাটসম্যান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং নেমেই দক্ষিণাঞ্চল দ্রুত হারিয়ে বসে দুই উইকেট। অভিজ্ঞ তুষার ইমরান অবশ্য সে চাপ সামলে নিয়েছিলেন তরুণ ফজলে মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজন তুলেছেন ১৬৫ রান। ১৬১ বলে ৮৯ রান করে ফজলে মাহমুদ ফিরেছিলেন ১১ রানের হতাশায় পুড়ে।

তুষার তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২৬তম শতক। ২২১ বলে ১৫ চার আর এক ছয়ে ১৩০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক পেরোনো একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার।