জুভেন্টাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
খেলার ৯৩ মিনিটে পাল্টে যায় সব চিত্র। রেফারির পেনাল্টির বাঁশি, জুভেন্টাস খেলোয়াড়দের তর্কে জড়িয়ে পড়া, বুফনের লাল কার্ড, রোনালদোর গোল আর সেইসঙ্গে জুভেন্টাসের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ। সব যেন ঘটে যায় মুহূর্তেই। ডি-বক্সের ভেতর রোনালদোর হেড থেকে বল যায় ভাস্কুয়েজের কাছে। তাঁকে পেছন থেকে অতর্কিতভাবে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জুভেন্টাস ফুটবলাররা।
রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে লাল কার্ড দেখেন জুভেন্টাস গোলকিপার বুফন। পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে রিয়াল মাদ্রিদকে সেমিতে পৌঁছে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচে ১-৩ গোলে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ের সুবাদে শেষ চার নিশ্চিত করে রিয়াল।
রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় বুফনের দল। দুই মিনিটের মাথায় খেদেইরার ক্রস থেকে হেডে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন মানজুকিচ। গোল খেয়ে আক্রমণের পর আক্রমণ করে যেতে থাকে রিয়াল। ম্যাচের ১০ মিনিটে বেলের দুর্দান্ত শট রুখে দেন বুফন। ১৫ মিনিটে আবার মানজুকিচ হেড করলে এবার সেভ করেন রিয়াল গোলকিপার নাভাস।
৩৪ মিনিটে ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে রিয়াল। ক্যাসিমেরোর কাছ থেকে বল পেয়ে বুফনকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ইস্কো। ৩৭ মিনিতে আবারও মানজুকিচের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। প্রথমার্ধ জুভরা শেষ করে দাপদের সঙ্গে।
বিরতি থেকে ফিরেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে জুভেন্টাস। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে রোনালদোর দুর্দান্ত শট রুখে দেন ইতালির দেয়াল বুফন। এর ঠিক ৩ মিনিট পরেই জুভেন্টাসের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে বসেন মাতৌদি। এই গোলের ফলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতায় চলে আসে জুভেন্টাস।
তিন গোল খেয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ৭৮ মিনিটে ইস্কোর শট রুখে দিয়ে আবার জুভেন্টাসের ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হন বুফন। ৮৬ মিনিটে আবার রোনালদোর একটি শট গোলবারে ঢুকতে ব্যর্থ হলে হতাশা নিয়ে ৯০ মিনিট শেষ করতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে সেই রোনালদোই পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে লিগে ফেরালেন। এর ফলে টানা আটবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠল এই টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলটি।