রাজ্জাকের রেকর্ডের দিনে শাদমান-মজিদের শতক
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা মাঠে গড়িয়েছে আজ মঙ্গলবার। ম্যাচের প্রথম দিনই ছিল ঘটনাবহুল। পাঁচ উইকেটের সঙ্গে রেকর্ড গড়েছেন আব্দুর রাজ্জাক রাজ। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা বেশ কিছুদিন পর ফিরেছেন সাদা পোশাকে। আর প্রথম দিনেই জোড়া শতক হাঁকিয়েছেন শাদমান ইসলাম ও আব্দুল মজিদ।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে চলতি বছরের শুরুতেই রাজ্জাক ঝুলিতে পুরেছেন পাঁচশো উইকেট। সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক বাঁহাতি এই স্পিনার এবার গড়লেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি।
খুলনায় প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে বলতে গেলে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্জাক। মাত্র ৫৩ রান দিয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সঙ্গে ৩৩বার পাঁচ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন এনামুল হক জুনিয়রকে। আগের ম্যাচেই বর্ষীয়ান বাঁহাতি স্পিনার ছুঁয়েছিলেন এনামুলের ৩২বারের রেকর্ড। রাজ্জাকের রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে তাঁর দলের হয়েই সাদা পোশাকে নেমেছিলেন মাশরাফি।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রাজ্জাকের তোপে আগে ব্যাট করা উত্তরাঞ্চল গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৮৭ রানেই। সোহরাওয়ার্দী শুভ উত্তরাঞ্চলের হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ ৫৯ রান, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ রান। রাজ্জাকের পাঁচ উইকেটের দিনে মাশরাফি ১২ ওভার বল করে ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। নিজেদের ইনিংসে নেমে দিনশেষে দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ এক উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান। এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েস দুজনেই হাঁকিয়েছেন অপরাজিত অর্ধশতক।
রাজশাহীতে ষষ্ঠ রাউন্ডের আরেক ম্যাচে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে শাদমান-মজিদের জোড়া শতকে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। প্রথম দিনশেষে মধাঞ্চলের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ৪০৬ রান। শুভাগত হোম অপরাজিত আছেন ৫০ রানে।
এর আগে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া মধ্যাঞ্চলকে এগিয়ে নিয়েছেন ডিপিএলে দারুণ ফর্মে থাকা দুই তরুণ ব্যাটসম্যান শাদমান ও মজিদ। দুজনই দেখা পেয়েছেন শতকের। ক্যারিয়ারের ৫ম প্রথম শ্রেণির শতক হাঁকিয়ে ১৫৭ বলে ১১ চার ও তিন ছয়ে ১১২ রানে ফিরেছেন শাদমান।
তবে মজিদকে ফেরানো যায়নি, ষষ্ঠ প্রথম শ্রেণির শতকের গণ্ডি পার করে ছাড়িয়ে গেছেন দেড়শোও। অবশ্য দিনের শেষে আহত হয়ে অবসরে গেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাঁর আগে মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৮২ বলে ১৮ চার আর ছয় ছক্কায় করে গেছেন ১৫৯ রান।