রোমাকে উড়িয়ে ফাইনালের পথে লিভারপুল
২০০৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছিল লিভারপুল। ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ অল রেডদের সামনে। আবারও ফাইনাল হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমাকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের টিকেট অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে শক্তিশালী একাদশই সাজিয়েছিলেন ক্লপ। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় লিভারপুল। রবার্তো ফিরমিনোর দুর্দান্ত শট ব্যর্থ হয়। ১৯ মিনিটে রোমাও পেয়ে গিয়েছিল গোল করে এগিয়ে যাওয়ার মোক্ষম সুযোগ। কিন্তু তাদের সেই গোল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় গোলবারে লেগে।
ম্যাচের ২৯ ও ৩০ মিনিটে সাদিও মানে পরপর দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৩৫ মিনিটে লিভারপুলের সমর্থকদের আনন্দে ভাসান মিসরের ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। বাঁ পাশ থেকে ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে বাঁকানো শটে গোল করে লিভারপুলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব গড়লেন সালাহ। ৪৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সালাহ। এই মৌসুমের ৪৭টি ম্যাচে ৪৩টি গোল করলেন তিনি। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রোমা। তবে লিভারপুলের ডিফেন্ডাররা তাদের প্রতিহত করেন কঠোরভাবে। ৫৬ মিনিটে সালাহর অ্যাসিস্টে সেনেগালের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে গোল করেন। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও গোলের জন্য দৌড়াতে থাকে লিভারপুল। ৬১ মিনিটে সেই সালাহর কল্যাণেই ম্যাচে নিজের প্রথম গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফিরমিনো। রোমার বিধ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে ৬৮ মিনিটে আবারও ফিরমিনো গোল করে দলকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধান গড়ে দেন।
৮১ মিনিটে রোমার হয়ে একটি সান্ত্বনাসূচক গোল করেন এডিন জেকো। ৮৫ মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে জিমস মিলনারের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় রোমা। স্পট কিক থেকে গোল করেন পেরোত্তি। ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে ৫-২ গোলের জয় নিয়েই ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে থাকলো লিভারপুল।
দ্বিতীয় লেগে রোমার মাঠে লিভারপুলের দরকার ড্র। তাতেই ফাইনালে উঠে যাবে ইংলিশ ক্লাবটি। অন্যদিকে, রোমা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। নিজেদের মাঠে তারা যেকোনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠে ম্যাচ বাগিয়ে নিতে পারে, তার প্রমাণ দিয়েছে বার্সেলোনাকে লিগ থেকে ছিটকে দিয়ে। তাই ব্যবধানটা বড় হলেও এখনই ফাইনালে ওঠার জয়োৎসব নেই লিভারপুল শিবিরে।