চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বদলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ!

Looks like you've blocked notifications!
আইসিসির বোর্ড সভায় অংশ নিয়েছিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর, প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন ও প্রেসিডেন্ট জহির আব্বাস।

ক্রিকেট-অনুরাগীদের আজকের দিনটায় চোখটা ছিল ভারতের কলকাতায়। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির বোর্ড সভা শেষ হল ভারতের শহরটিতেই। অনেকগুলো নতুন সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল, এসেছেও। আইসিসির সবগুলো সদস্য দেশকেই দেয়া হবে টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস। ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বদলে আইসিসি আগ্রহী টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর আয়োজনের। এছাড়া ক্রিকেটে নিয়ম বহির্ভুত আচরণের বিপক্ষে আরও কঠোর হচ্ছে আইসিসি।

গত সোমবার ও মঙ্গলবার আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের বৈঠক শেষে জানা গিয়েছিল এবারের বিশ্বকাপের সূচি। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হত আজ কলকাতায় বোর্ড সভা শেষ হওয়ার পর্যন্ত। সেই সভা শেষে অবশ্য আর কোনো রদবদল আসেনি ইংল্যান্ডে আসন্ন বিশ্বকাপের সূচিতে।

মোট ১০৪ দেশ রয়েছে আইসিসির সদস্য হিসেবে। তাঁর মধ্যে ১৮টি দেশের নামের ছিল টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার যোগ্যতা। ১২ পূর্ণ সদস্য দেশের সঙ্গে স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপালের ছিল টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস।

ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে আইসিসি নিয়েছে নতুন সিদ্ধান্ত। ১০৪টি দেশের সবকটি দেশকেই এবার দেয়া হবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেয়ার অনুমতি। নারী ও পুরুষ উভয় দলই মাঠে নামতে পারবে বিশ ওভারের ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস পেতে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে দেশগুলোকে। নারী দলগুলো অবশ্য অনুমতি পেয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের ১ জুলাই। তবে পুরুষ দলগুলো পাবে ২০১৯ সালের প্রথম দিনেই।

সদস্য দেশগুলোর জন্য সুখবর নিয়ে আসলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ব্যাপারে আইসিসি দিচ্ছে দুঃসংবাদ। গেল বছর আয়োজিত হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ আসরটি।

বরং ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বদলে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আয়োজন করতে চায় টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর। এদিকে আবার ২০২০ সালেও মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরার আরো একটি লড়াই। টানা দুটি বিশ ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে হারিয়ে গেলেও যেতে পারে পঞ্চাশ ওভারের মর্যাদাময় টুর্নামেন্ট।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে অস্ট্রেলিয়া দলের বল টেম্পারিং কাণ্ডে বিব্রত ছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্বই। এতদিন তেমন কোন ভ্রূক্ষেপ না করলেও এবার টনক নড়েছে আইসিসির। বল টেম্পারিং, মাঠে গালাগালি কিংবা অক্রিকেটীয় আচরণের জন্য আইসিসি এবার আনছে আরও কঠিন শাস্তি।

এতদিন ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হত শাস্তির জন্য। এবার আর সে সুযোগ আর পাচ্ছেনা ক্রিকেটাররা, সাজা দেওয়া হবে তাৎক্ষণিক। বোর্ড সভায় আইসিসির প্রধান নির্বাহী  ডেভিড রিচার্ডসন  এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বল টেম্পারিং, মাঠে গালাগাল, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করাসহ সব ধরনের অক্রিকেটীয় আচরণের বিরুদ্ধে আইসিসি এখন থেকে হবে আরও কঠোর। আর্থিক জরিমানা হতে যেহেতু কিছুই প্রমাণ হয়না তাই আমরা এবার তাৎক্ষনিক সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নিয়ে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি পরিকল্পনা করছে।’