রাশিয়ায় কি দেখা যাবে ইরান ঝলক?
ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ। টানা দুবার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল ইরান। শুধু কি তাই? এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দল ইরান। আট বছর অপেক্ষার পর ২০১৪ সালে তাঁরা বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছিল। অবশ্য এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে তারাই। এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করলেও কোনোটিরও গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারেনি এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি এই দলটি। কিন্তু এবার পর্তুগিজ তারকা কার্লোস কুইরোজের অধীনের এই দলটি দারুণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। তবে কি রাশিয়া বিশ্বকাপের এই আসরে ঝলক দেখাতে চলেছে ইরান?
ইরান এবারের বিশ্বকাপে আছে ‘বি’ দলে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী স্পেন তো শিরোপার অন্যতম দাবিদার। অন্যদিকে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল সামর্থ্য বিবেচনায় এগিয়ে আছে ইরানের চেয়েও বেশি। আছে আফ্রিকান জায়ান্ট মরক্কো। তাই গ্রুপ পর্ব টপকানো সহজ কাজ হবে না ইরানের কাছে। তবে দলের খেলোয়াড়য়া ইউরোপের বিভিন্ন দলে খেলে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হচ্ছেন। অন্যদিকে, তাদের ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ খেলার দারুণ অভিজ্ঞতাও রয়েছে। সুতরাং দলটা নিয়ে কুইরোজ দারুণ আশাবাদী। অবশ্য পরপর দুবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার কারণে দলটির ওপর ভালো করার চাপও রয়েছে। কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জুনের চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত।
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপিয়ান দ্বিতীয় সারির দলগুলোতে বর্তমানে খেলছেন ইরানিয়ান ফুটবলাররা, সাফল্যও পাচ্ছেন। তাঁদের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগের চেয়েও তাঁরা আরো বেশি সক্রিয়। ইরান উইঙ্গার আলিরেজা জাহানবক্স এজে আলমার ক্লাবের সাফল্যের জন্য নেদারল্যান্ডসের এই মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় হতে যাচ্ছেন। ২৩ বছর বয়সী সরদার আজমাউন এশিয়ার অন্যতম সেরা তারকা। সামান গোডোস উইরোপিয়ান তারকা হওয়ার পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছেন। এঁদের দিকে তাকিয়ে ইরান প্রত্যাশার ঝুলি স্ফীত করতেই পারে।
যদিও বিশ্বকাপে ইরানের সামনে কঠিন বাধা। তবে সে বাধা টপকালেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই। ইরানের মেধাবী খেলোয়াড়রা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে বরং ইরানের ফুটবলের এই উত্থানের সুসময়ে বিশ্বকাপ মিশনে ভালো ফল কুইরোজের প্রাপ্যই।