‘আইসিসির বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার প্রক্রিয়াই সঠিক নয়’

Looks like you've blocked notifications!

গত বছরের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ হাফিজের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ তোলেন আম্পায়াররা। যার ফলে ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয় এই পাকিস্তানি তারকাকে। তবে ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি আবারও ফিরে আসেন স্বরূপে। তবে এবার আইসিসির দিকেই অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন হাফিজ। তাঁর কাছে আইসিসির বোলিং অ্যাকশনের বৈধ-অবৈধতার প্রক্রিয়াকেই সঠিক মনে হয় না।

হাফিজের জন্য এটাই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও তিনি অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের শিকার হয়েছেন। নিজেকে প্রমাণ করে ফিরেও এসেছেন। তবে এই ৩৭ বছর বয়সী তারকা মনে করেন আইসিসি যে পদ্ধতিতে বোলারদের অ্যাকশনের আওতায় আনে, সেটা স্বচ্ছ্ না।

হাফিজ মনে করেন পদ্ধতিটার মধ্যে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এই ডানহাতি বোলার বলেন, ‘অনেক ব্যাপার আছে যা এই ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। প্রভাব বিস্তারকারী এসব বোর্ডের অনেক ক্ষমতা থাকে। তাই কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। অনেকের সাথেই তাঁদের ভালো সম্পর্ক থাকে এবং কেউ চায় না সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাক। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নিয়মটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে দুনিয়ার সব বোলারকে কেন পরীক্ষার আওতায় আনা হয় না? আমার তো মনে হয় না- এটা খুব একটা কঠিন কাজ।’

হাফিজ আরো বলেন, ‘পরীক্ষাগারে গিয়ে দেখি, আমার কনুই ১৫ ডিগ্রির সামান্য উপরে ভাঁজ হয়। যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু মাঠের আম্পায়াররা সেটা খালি চোখে কীভাবে দেখলেন? আমার কনুই ১৬, ১৭ ডিগ্রি বাঁকানোর রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু যাদের ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি বেঁকে যায়, তাঁদের কেন পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় না?’

১৩ বছর ধরেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার হাফিজ। ২০০৫, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৭ সালে অবৈধ বোলিংয়ের জন্য বেশ দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয় এই অভিজ্ঞ তারকাকে।