ইতিহাস গড়েই চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ
দারুণ একটি রেকর্ডের হাতছানি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের সামনে, হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের। হ্যাঁ, তা পেরেছেও জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। ইতিহাস গড়েই টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কিয়েভায় উজ্জীবিত লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার উল্লাস করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল।
ম্যাচে রিয়ালের জয়ের নায়ক গ্যারেথ বেল। তাঁর জোড়া গোলেই এই অসাধারণ সাফল্য পায় রিয়াল। আর অন্য গোলটি আসে করিম বেনজেমার পা থেকে।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে অপ্রত্যাশিত গোলের দেখা পায় রিয়াল। লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিয়াস মাঝমাঠ থেকে আসা একটি বল ধরে সতীর্থের উদ্দেশে বাড়াতেই রিয়াল স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াল এগিয়ে গেছে (১-০) ঠিক, কিন্তু পুরো স্টেডিয়াম সাময়িক স্তব্ধ হয়ে যায়, এ কেমন গোল হজম করেছে লিভারপুল। গোলরক্ষকের ভুলেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে গোলটি হজম করে অলরেডরা।
ঠিক পাঁচ মিনিট পর গোলটি সমতা নিয়েও আসে লিভারপুল। জেমস মিলনারের কর্নারে ডেজান লভরেনের হেড চলতি বলে চমৎকার পা ছুঁইয়ে বলটি জালে পাঠাতে মোটেও ভুল করেননি দলটির সেনেগালের স্ট্রাইকার সাদিও মানে।
এর পরই যেন শুরু হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আসল উত্তেজনা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে চলতে থাকে খেলা। কিন্তু ম্যাচে মূল উত্তেজনা ছড়ান বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা গ্যারেথ বেল।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার মার্সেলোর চমৎকার একটি ক্রসে বেল অসাধারণ ‘বাইসাইকেল' গোলে লক্ষ্যভেদ করে রিয়াল শিবিরকে উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন। রিয়াল এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
১০ মিনিট পর বেল করেন আরেকটি অবিশ্বাস্য গোল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে আচমকা একটি শটে পরাস্ত করেন লিভারপুল গোলরক্ষকে। কারিয়াস ফিস্ট করলে বলটি ঠেকাতে পারেননি, তাঁর হাতে লেগে বলটি জালে জড়ায়।
এর আগে ম্যাচের ২৯ মিনিটে লিভারপুলের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল, দলটির সবচেয়ে বড় তারকা মোহাম্মদ সালাহ চোটে আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়লে। রিয়াল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাতে ব্যথা পান সালাহ। প্রথমে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলেও আবার ফিরেছিলেনও, কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অল্প কিছুক্ষণের আবার মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।