চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সিরিজটাও জিততে চান মাহমুদউল্লাহ
বাংলাদেশ দল শেষবার মাঠে নেমেছিল গত মার্চে। এবার যখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের দল, মাঝে পেরিয়ে গেছে আড়াই মাস। আর এই দলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটাকেই জয় করতে চান মাহমুদউল্লাহ, সঙ্গে বগলদাবা করতে চান সিরিজটাকেও।
মাঠে নামা শেষ দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্বটা দিতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকেই। সাকিবের হাতের চোটে হুট করেই দায়িত্ব পাওয়া ডানহাতি ব্যাটসম্যান ঘরের মাঠে ভাল ফালাফল না এনে দিতে পারলেও তাঁর অধীনে শ্রীলঙ্কার মাঠে দারুণ খেলেছিল বাংলাদেশ।
এবার ‘অধিনায়কত্বের’ চ্যালেঞ্জটা থাকছেনা, তবে দল হিসেবে ভাল করার চাপটা ঠিকই থাকছে। আর সেই চ্যালেঞ্জটা ভালভাবেই উৎরে যেতে যান মাহমুদউল্লাহ, ‘আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জেতা। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। দলটা আফগানিস্তান বলেই এটা অন্য রকম চ্যালেঞ্জের। আমাদের সুনাম ধরে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। আশা করি, ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা সিরিজ জিতে আসতে পারব।’
দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজটা শুরুর আগে র্যাং কিংটা নিয়েই কথা হচ্ছে বেশি। নবীন দলটি যেখানে উঠে গেছে আটে, বাংলাদেশ সেখানে পড়ে আছে দশে। তবে এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন মাহমুদউল্লাহ। বরং চ্যালেঞ্জটার সঙ্গে সিরিজটা জিততেই বেশি আগ্রহ তাঁর, ‘র্যাং কিংয়ে আফগানিস্তান আট নম্বর, আমরা দশ নম্বর। আমি চ্যালেঞ্জটা দেখি এভাবে, প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই আমাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল। এখন সেটা সরে যাচ্ছে। আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজ আরও একটা সুযোগ, প্রতিটি ম্যাচ জেতার। এই সিরিজটা জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে।’
ভারতের মাটিতে এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষের নাম আফগানিস্তানের বদলে হয়ে গেছেন যেন রশিদ খান। এই নিয়ে মুশফিকুর রহিম আর তামিম ইকবাল তো মুখ খুলেছেনই। এবার মাহমুদউল্লাহও জানালেন বিশ্বসেরা লেগ-স্পিনারকে নিয়ে নিজের ভাবনা, ‘রশিদ অবশ্যই ভালো বোলার। ভালো ক্রিকেট খেলছে সে। আমাদেরও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জিনিসগুলো অনেক বেশি সহজ ও স্বাভাবিক রাখা দরকার। আমরা নিজেরা কী করতে পারি, ওটার দিকে যদি আমরা বেশি মনোযোগী হতে পারি, তাহলে আমাদেরজন্যই ভালো হবে।’