ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে
ক্রিকেট দুনিয়ায় স্পট ফিক্সিং জঘন্য অপরাধ। এই কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে অনেক তারকা খেলোয়াড় নিজেদের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ বলীদান করেছেন। সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের ইতি টানতে বাধ্য হয়েছেন। এবার ফিক্সিং বিষয়ক আলজাজিরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নাড়িয়ে দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বকে। ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দলের একাধিক খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনেছে কাতারভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্কটি।
আলজাজিরার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পৃথক দুটি টেস্ট সিরিজে ফিক্সিংয়ের ঘটনা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ড-ভারতের টেস্ট ম্যাচ এবং ২০১৭ সালের মার্চে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের টেস্ট ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তোলে টেলিভিশন চ্যানেলটি। আলজাজিরা থেকে দাবি করা হয়, ম্যাচ চলাকালীন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু ব্যাটসম্যান ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে। রিপোর্টটিতে দাবি করা হয়, তিনজন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার ও দুজন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় জুয়াড়িদের ইচ্ছানুযায়ী ধীরগতিতে রান নিয়েছিলেন।
তবে আলজাজিরার এমন প্রতিবেদনে আস্থা নেই অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বোর্ডগুলোর। দল থেকে বলা হয়েছে, এসব ম্যাচে ফিক্সিংয়ের কোনো সুযোগ ছিল না। এমনকি ভিডিও ফুটেজ দেখেও মনে হয়নি কোনো খেলোয়াড় ফিক্সিংয়ে জড়িত।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের কোচ জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, ‘টেলিভিশনটি কোনো নির্ভরযোগ্য ফুটেজ দেখায়নি, যাতে মনে হতে পারে উল্লেখিত ম্যাচে ফিক্সিং হয়েছিল। আমরা এসব ইস্যু খুব গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করি এবং এসব ঘটনা নির্ভুলভাবে তদন্ত হয়।’
ইংল্যান্ড বোর্ড থেকে বলা হয়, ‘ডকুমেন্টারিতে এমন কিছুই দেখিনি, যাতে মনে হয় আমাদের খেলোয়াড়রা এমন জঘন্য কাজে জড়িয়ে পড়েছিল। ইংল্যান্ড বোর্ড কিংবা আইসিসির পক্ষ থেকে ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
যদিও আলজাজিরার অভিযোগকৃত দুটি ম্যাচই ছিল ভারতের বিপক্ষে। উপমহাদেশের এই দেশটির কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, ‘ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আমরা আপসহীন। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফিক্সিংয়ের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটের সাথে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটও কাজ করছে।’