লর্ডস দিয়েই শেষ হল আফ্রিদি-অধ্যায়

Looks like you've blocked notifications!

একটু আগেই টসে শহীদ আফ্রিদি বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। লর্ডসে যখন নামতে যাচ্ছেন বিশ্ব একাদশ দলে তাঁর সতীর্থরা দুই পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন সারিবদ্ধ হয়ে। ‘গার্ড অব অনার’ তো পেতেই পারেন সাবেক পাকিস্তানী এই অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাই যে ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ কবারই অবসরে গিয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে দলের প্রয়োজনে পরে অবসর ভেঙ্গে ফিরে আসার নজিরও গড়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। তাই এবার যখন আফ্রিদি ঘোষণা দিয়েছেন আবারও ব্যাট-প্যাড গুছিয়ে রাখার, ধারাভাষ্যকার নাসির হোসেনের বিশ্বাস হয়নি পুরোপুরি!

প্রদর্শনী ম্যাচ দেখেই কিনা ছিলনা নিয়মের কোন বালাই। তাই নাসিরকে মাইক্রোফোন হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল মাঠের মাঝেই। আফ্রিদির পাশে এসে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘এটাই কি তবে শেষবার?’। তবে নাসিরের কাঁধে হাত রেখে আফ্রিদি জানিয়েছেন এটাই শেষ, ‘হ্যাঁ, এবারই শেষ। আমার ইনজুরি তো দেখছই।’

সামুদ্রিক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ক্যারিবীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোকে পুনরায় সারিয়ে তুলতে এই ম্যাচের আয়োজন করেছিল আইসিসি। এই ম্যাচের টিকিট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে উইন্ডিজ পাঁচটি মেরামতের জন্য।  লর্ডসের মাঠের সে ম্যাচে বাংলাদেশ থেকে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল থাকার কথা থাকলেও ছিলেন শুধু তামিম।

দলের সব খেলোয়াড়ের মতো নিজের শেষ ম্যাচে প্রাপ্ত ম্যাচ-ফির পুরোটাই দিয়ে দিয়েছেন আফ্রিদি। সঙ্গে তাঁর দাতব্য সংগঠন থেকে আরও জোগাড় করে দিয়েছে ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

পাকিস্তানের হয়ে পাননি কোন সংবর্ধনা। নিজদেশের জার্সিতে মাঠটা নীরবেই ছেড়েছেন অনেকটা। কিন্তু ক্রিকেটকে এতদিন ধরে যা দিয়েছেন তাঁর বিনিময়ে পেলেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বের কাছ থেকে সম্মান। ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশের কাছ থেকেই তো, বিশ্ব একাদশে যে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বেশ কয়েকটি দেশের ক্রিকেটাররাই।