মেসির জার্সি পুড়িয়ে প্রতিবাদের হুমকি
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বহু বছর ধরেই চলছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত। অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ইসরায়েলের উপনিবেশ স্থাপনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটি। নিজেদের বেহাত হওয়া ভূমি উদ্ধারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ যুদ্ধ। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী শনিবার ফিলিস্তিনের ‘রাজনৈতিক শত্রু’ ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এ ব্যাপারটিকে ভালো চোখে দেখছে না ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের মতে, আর্জেন্টিনার জায়ান্ট লিওনেল মেসি যদি এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করে, তবে ভক্তদের উচিত হবে তাঁর ছবি ও তাঁর শার্ট পুড়িয়ে ফেলা।
আর মাত্র ১০ দিন পরই শুরু হচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে অন্যান্য দলের মতো শেষ মুহূর্তে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ও টিম কম্বিনেশন ঠিক করতে জর্জ সাম্পাওলির দলও বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিচ্ছে। এর আগের ম্যাচে হাইতির বিপক্ষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। পরের ম্যাচে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচে নামবে মেসি বাহিনী। এই ম্যাচের মাধ্যমেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব শেষ করবে আর্জেন্টিনা শিবির। ওই ম্যাচকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফিলিস্তিন মনে করছে, আন্তর্জাতিক এই প্রীতি ম্যাচকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই ফিলিস্তিনের ভক্তদের উচিত হবে, মেসির ছবি ও তাঁর নামের জার্সি পুড়িয়ে ফেলা। এমনটাই বলেছেন ফিলিস্তিনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জিবরিল রাজব।
পুরো আর্জেন্টিনা দলই ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলবে। তবে শুধু মেসিকেই কেন আক্রমণ? এই প্রশ্নেরও জবাব দিলেন জিবরিল। তিনি বলেন, ‘মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। তাঁর যেকোনো কাজই গুরুত্ব বহন করে। তাই আমরা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করেছি। এবং সবাইকে বলব, যদি মেসি এই ম্যাচে খেলে, তবে ভক্তদের উচিত হবে তাঁর ছবি ও নামসংবলিত জার্সি পুড়িয়ে ফেলে প্রতিবাদ করা। আমরা সবাই আশা করি, মেসি এই ম্যাচ খেলতে আসবেন না।’