মাশরাফিদের নতুন কোচ স্টিভ রোডস

Looks like you've blocked notifications!

গেল বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরেসিংহে। এরপর কেটে গেছে প্রায় আট মাস। কোচের পদটা ছিল শূন্য। অবশেষে মাশরাফিরা পাচ্ছেন তাদের নতুন গুরু। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার স্টিভ রোডসকে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রোডস।

অবশ্য গত মঙ্গলবারই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন রোডস। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা তাঁর সঙ্গে বসেছিলেন বৈঠকে। বৈঠক যে ফলপ্রসূ হয়েছে সেটা বোঝা গেল মিরপুরে আজ শেরেবাংলায় বিসিবি প্রধান নিজেই যখন জানালেন নতুন কোচ নিয়োগের খবরটা।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আর বাকি মাত্র ১১ মাস। তাই এখনই নতুন কোচে দেখা পাওয়াটা দরকার ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য। ইংল্যান্ডে মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় থাকা ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই তাই ২০২০ সাল পর্যন্ত রোডসকেই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব।

কোচিং ক্যারিয়ারে খুব বেশি দলের দায়িত্বে না থাকলেও ইংলিশ কাউন্টি দল ওরচেস্টারশায়ারের কোচ ও ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে রোডস কাজ করেছেন ১১ বছর। এর আগে এই ওরচেস্টারশায়ারের হয়েই খেলেছেন প্রায় ২০ বছর। সাবেক এই ইংলিশ উইকেটরক্ষক ইংল্যান্ডের জার্সিতেও ১১ টেস্টের সঙ্গে নেমেছেন ৯ ওয়ানডেতেও। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবেও কাজ করেছিলেন রোডস।

বিসিবির চাওয়া ছিল সাবেক ভারতীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ গ্যারি কারস্টেন যেন সাকিবদের দায়িত্বটা নেন। সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান কোচ হতে রাজি হননি, তবে কোচ নির্বাচনে বিসিবিকে সহায়তা করবেন বলে নিয়োগ পেয়েছিলেন উপদেষ্টা হিসেবে। মাত্র সপ্তাহ তিনের মাথায়ই প্রধান কোচ হিসেবে রোডসের খোঁজ মেলায় কারস্টেন যে সে দায়িত্ব পালন করেছেন মুন্সিয়ানার সাথেই সে বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পূর্ব পরিচিতই ছিলেন এই কোচ। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেট মাতিয়ে আসা এই অলরাউন্ডার কিন্তু ওরচেস্টারশায়ারে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন এই রোডসকেই।

রোডসের অধীনে কাউন্টি ক্রিকেটের মাঠে নামা ২৬ ম্যাচে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব।

আফগানদের সঙ্গে অসহায়ভাবে সিরিজ হেরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়া দলপতি আর অন্য শিষ্যদের ঠিক কতটা চাঙ্গা করতে পারেন নতুন এই ‘গুরু’, সময়ই বলে দেবে সেটা।