সাকিবের কীর্তির ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৪৬ রান
দেরাদুনে ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড় দিয়ে। শুরুর ওভারেই ১৮ রান তুলে নেওয়া আফগানদের অবশ্য এ ম্যাচে আর বড় স্কোর তুলতে দেয়নি বাংলাদেশ। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সাকিব আল হাসানের দল প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়েছে নাগালের মধ্যেই।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা আফগানিস্তান নিজেদের ইনিংসে সংগ্রহ করেছে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান। ম্যাচে তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের ১০ হাজার রান আর ৫০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিটা বাংলাদেশের সিরিজ হারের ক্ষতে একটু হলেও প্রলেপ দিয়েছে।
রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ নেমেছিল তিন পরিবর্তন নিয়ে। সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন আর মোসাদ্দেক হোসেনের বদলে নেমেছিলেন আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু জায়েদ রাহি।
তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ের উদ্বোধনটা মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়েই করিয়েছিলেন সাকিব। তবে সেই ওভারেই শাহজাদ তুলে নেন ১৮ রান।
পরের চার ওভারে নাজমুল ইসলাম অপু, অধিনায়ক সাকিব আর আবু হায়দার রনি টেনে ধরেছিলেন আফগানদের রানের চাকা। রনির করা প্রথম ওভারে আঘাত পেয়ে একটু মন্থর হয়ে পড়া শাহজাদকে শেষমেশ ফিরিয়েছিলেন অপুই।
প্রথম টি-টোয়েন্টির বাজে বোলিংয়ে পরের ম্যাচে একাদশেই সুযোগ হয়নি আবু জায়েদের। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে দারুণ বল করে দুই উইকেট শিকার করেছেন ডানহাতি এই পেসার। প্রথম তিন ওভারে দারুণ মিতব্যয়ী থাকলেও শেষ ওভারে একটু খরুচেই ছিলেন আবু জায়েদ।
আরিফুল হক ফিরেই পেয়েছিলেন বোলিংয়ের সুযোগ। আফগান দলনায়ক আজগর স্ট্যানিকজাইকে ফিরিয়ে উইকেটও তুলে নিয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
৪৯৯ উইকেট নিয়ে সাকিব দাঁড়িয়ে ছিলেন মাইলফলকের একদম দ্বারপ্রান্তেই। ম্যাচের ১৯তম ওভারে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জ্যাক ক্যালিস ও শহীদ আফ্রিদির পর ১০ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের বিরল ক্লাবে ঢুকেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ১৪৫/৬ (২০ ওভার) শামিউল্লাহ ৩৩*, স্ট্যানিকজাই ২৭, শেহজাদ ২৬, গনি ১৯। অপু ২/১৮, আবু জায়েদ ২/২৭, আরিফুল ১/১৩, সাকিব ১/১৬।