ফ্রান্সের কাছে হার রোনালদোর পর্তুগালের
একই দিনে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন এসময়ের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুজনই অধিনায়কত্ব করেছেন দুই দলের। কিন্তু ম্যাচ শেষে তাঁরা মাঠ ছেড়েছেন পুরোপুরি ভিন্নরকম অনুভূতি নিয়ে। মেসির আর্জেন্টিনা বলিভিয়াকে ডুবিয়েছে ৭-০ গোলে হারের লজ্জায়। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা করেছেন জোড়া গোল। আর রোনালদোর পর্তুগাল, ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে গেছে ১-০ গোলে।
২০১৬ সালের ইউরো কাপে স্বাগতিক হিসেবে বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে না ফ্রান্সকে। কিন্তু পর্তুগালকে আগামী সোমবার বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলতে হবে আলবেনিয়ার বিপক্ষে। সেটার প্রস্তুতির জন্যই লিসবনে ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর দল। প্রায় পুরো ম্যাচেই দর্শকদের হতাশ করেছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। গোলশূন্য ড্র হবে এমনটাই বোধহয় ধরে নিয়েছিলেন হোসে আভালাদে স্টেডিয়ামের দর্শকরা। কিন্তু ৮৫ মিনিটের মাথায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য খুঁজে পান ম্যাথু ভালবুয়েনা। ৮০ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামার পাঁচ মিনিট পরই গোল করেন ফ্রান্সের এই মিডফিল্ডার। শেষপর্যন্ত এই ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
এই নিয়ে পর্তুগালের বিপক্ষে টানা ১০ ম্যাচে জয় পেল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা। ফ্রান্স, পর্তুগালের বিপক্ষে শেষবারের মতো হেরেছিল ১৯৭৫ সালে।
ইউরো বাছাইপর্বে অবশ্য বেশ ভালো অবস্থানে আছে পর্তুগাল। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় দিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে রোনালদোর দল। সোমবার আলবেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির পর তাদের খেলতে হবে আর মাত্র দুটি ম্যাচ। ৮ অক্টোবর ডেনমার্ক ও ১১ অক্টোবর সার্বিয়ার বিপক্ষে।