বিশ্বকাপে মেসি অধ্যায়ের এক যুগ! এবার ঘুঁচবে আক্ষেপ?

Looks like you've blocked notifications!

এক যুগ আগে, ২০০৬ সালের এই দিনেই বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল এই আর্জেন্টাইন জাদুকরের। আকাশী-সাদা জার্সি গায়ে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ অভিষেকের নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন মেসি। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।

সার্বিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৭৮ মিনিটের মাথায় বদলি হিসেবে মাঠে নেমে মেসিও করেছিলেন একটি গোল। আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে। এক যুগ পর এই মেসিই হয়ে উঠেছেন গোটা আর্জেন্টিনার আশা-ভরসা। তাঁর খুদে দুটি পায়ের দিকে তাকিয়েই দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘোঁচানোর স্বপ্ন দেখছেন আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকরা।

মেসি নিজেও কি খুব করেই চাইছেন না বিশ্বকাপের স্বাদটা পেতে? ২০১৪ সালের গত বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও শেষপর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছিল মেসিকে। হাত ছোঁয়া দূরত্বে বিশ্বকাপ শিরোপাটা রেখে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল মাঠ ছেড়ে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেও কোনোভাবেই সান্ত্বনা পাওয়ার কথা না এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের। পেলে-ম্যারাডোনার মতো বিশ্বকাপের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকার জন্য মেসির চাই শিরোপা। আর এবারই হয়তো লেখা হবে তাঁর বিশ্বকাপ অধ্যায়ের শেষ পৃষ্ঠাগুলো।

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে মেসির নামটা লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। যেকোনো ফুটবলারের ঈর্ষা জাগানোর মতো পরিসংখ্যান মেসির নামের পাশে। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মেসি জিতেছেন একের পর এক শিরোপা। পেয়েছেন অবিস্মরণীয় সব সাফল্য। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে মেসি হয়ে আছেন এক অনন্ত আক্ষেপের নাম।

আর্জেন্টিানর হয়ে বয়সভিত্তিক ফুটবল শুরুর সময় মেসি জিতেছিলেন অলিম্পিক শিরোপা। ওটাই শেষ। ছোট-বড় কোনো সাফল্যেরই আর দেখা পাননি ১২ বছরের এই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টানা দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও হতাশ হতে হয়েছে মেসিকে। রাগে-ক্ষোভে তো একবার অবসরের ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

এবারের বিশ্বকাপটা তাই মেসির জন্য হতে যাচ্ছে একটা অন্তিম প্রচেষ্টা। ফুটবল ইতিহাসে নিজের নামটা অবিস্মরণীয় করে রাখার। বিশ্বকাপ জিতলে পেলে-ম্যারাডোনা-জিদানদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে এক নিঃশ্বাসেই উচ্চারিত হবে মেসির নাম। আর না জিততে পারলে মেসি নামটা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো জোরে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন অনেকে।

সত্যিই কি পারবেন মেসি? নিজেকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে? উত্তর খোঁজার পালা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মেসি শুরু করছেন সব আক্ষেপ-অভিযোগ-অনুযোগ ঘোঁচানোর মিশন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ডের ম্যাচ।