সুয়ারেজে ভরসা নেই উরুগুয়ের সমর্থকদের

Looks like you've blocked notifications!

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে জয় দিয়ে শুরু হয়েছে উরুগুয়ের। কিন্তু মিসরের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়েও নেই সন্তুষ্টি। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে খেলতে আসা মিসরের বিপক্ষে জয় পেতে রীতিমত ঘাম ঝরাতে হয় দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে দারুণ একটি গোল করে উরুগুয়ে শেষ মুহূর্তে হোসে মারিয়া গিমেনেজের সহায়তায় গোল না পেলে শেষ হাসি হাসত মোহামেদ সালাহবিহীন মিসরই। 

দলটির তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজও ম্যাচে ভরসার প্রতীক হতে পারেননি। একেবারে পোস্টের সামনে বল পেয়েও জালে জড়াতে পারেননি তিনি। বল বাইরে পাঠিয়ে দেন। উরুগুইয়ানদের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ কোচ অস্কার তাবারেজ নয়, স্বয়ং বার্সেলোনার হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেজ। আজ গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে  সৌদি আরবের মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। সুয়ারেজ প্রথম ম্যাচের মতো ব্যর্থ হবেন কি না, এমন আশঙ্কায় ভুগছে দেশটির সমর্থকরা।

গত বুধবার নিজের শততম আনর্জাতিক ম্যাচে দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু অভিজ্ঞতার ঝুলিতে পরিপূর্ণ এই তারকা ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেননি। ম্যাচের ২৩ মিনিটে উরুগুয়ের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় সুয়ারেজের ব্যর্থতায়। তাই সব ছাপিয়ে ভক্তদের নজর এখন সুয়ারেজের দিকেই।

ফাবিয়ান নামের এক উরুগুইয়ান ভক্ত বলেছেন, ‘সুয়ারেজ এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। তবে আমরা আশা করব, সে তার বর্তমান ফর্মের মতো জ্বলে উঠবে।’

২২ বছর বয়সী জুয়ান মার্টিন বলেন, ‘সুয়ারেজের ব্যর্থতা আমাদের জন্য খানিকটা দুশ্চিন্তার কারণ। কেননা সে এডিনসন কাভানির পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমরা আশা করব, সে দ্রুতই ভালো খেলে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ফুটবল আমাদের দেশের সংস্কৃতির একটি বিরাট অংশ। অন্যদের কাছে ফু্টবল একটি খেলা। কিন্তু আমাদের কাছে এটা কেবল খেলা নয়, আমাদের আবেগ।’

১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারটি আসরের তিনটি আসরেই বাছাই পর্ব পার হতে পারেনি উরুগুয়ে। কিন্তু ২০১০ সালে চতুর্থ স্থান লাভ করেছিল দেশটি, যা ১৯৭০ সালের পর সেরা সাফল্য। ভক্তদের প্রত্যাশা, আজ সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে জয়লাভ করলেই সফলভাবে এবারের আসরে শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে দলটি।

হুগো মেনা নামের এক উরুগুইয়ান ভক্ত জানিয়েছেন, কোচ তাবারেজকে নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘তাবারেজ উরুগুয়ের ফুটবলকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ফুটবলারদের মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ ও প্রতিশ্রুতিশীল হতে শিখিয়েছেন। তিনি দলে আসার আগে বস্তুতপক্ষে উরুগুয়ের ফুটবল ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তিনি দলের জন্য যা করেছেন, আমরা কৃতজ্ঞ।’