১৯৯৮ সালের স্মৃতি ফেরাবে ক্রোয়েশিয়া?

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বকাপের ইতিহাসে বড় একটা সময় ক্রোয়েশিয়া ছিল যুগোস্লোভিয়ার অংশ হিসেবে। স্বাধীন দেশ হিসেবে ক্রোয়েটরা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে আসে ১৯৯৮ সালে। প্রথম আসরেই বাজিমাৎ করে তারা। চলে যায় সেমিফাইনাল পর্যন্ত। শেষ চারের লড়াইয়ে স্বাগতিক স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে থেমে যেতে হয় তাদের।

এরপরের দুটি আসরে আর ঝলক দেখাতে পারেনি দলটি। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হওয়া ক্রোয়েশিয়া ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের টিকেটই পায়নি। তবে এবার আশা জাগাচ্ছে দলটি। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে  হারিয়ে প্রত্যাশার পালে হাওয়া লেগেছে তাদের। তবে কি ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি করে আবারও কি চমক দেখাতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া?

এবারের বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ও ইংলিশ  ক্লাবে খেলা তারকা খেলোয়াড়রা। আতলেতিকো  মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস ও লিভারপুলের তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া ক্রোয়েশিয়া দল। মাতেও কোভাচিচ, ডিজান লভরেন, মারিও মানজুকিচ, লুকা মদ্রিচ, ইভার রাকিটিচরা  ক্লাবে নিয়মিত অনুশীলন করেন। এ ছাড়া বিশ্বের  বড় বড় তারকাদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁদের।

খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দলের কোচ জলাতকো দালিচ দল সাজাচ্ছেন বেশ বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে। তিনি বেশ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দলকে রাশিয়ায় পাঠিয়েছেন। দলের প্রত্যেকটা সদস্যই নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্লাবের প্রথম সারির খেলোয়াড়।

আত্মবিশ্বাসী ক্রোয়েশিয়া শিবির বেশ নির্ভার হয়ে মাঠে নামছে। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল রাকিটিচরা। বাড়তি কোনো চাপ না নিয়ে স্বভাবসুলভ খেলা খেলে দলকে জয় উপহার দিয়ে নক আউট রাউন্ডের পথে হাঁটছে দলটি। দলের কোচও অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য নক আউট পর্ব খেলা। তবে রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার মদ্রিচ বলেন, ‘এখনই সময়, আমাদের ভালো কিছু করতে হবে।’