সবকিছুই সমান, তবুও কেন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন?

Looks like you've blocked notifications!

গ্রুপ ‘বি’র শীর্ষে থেকে স্পেন গিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে। অথচ পর্তুগালের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ছিল সমান। তবুও শেষ ষোলোর লড়াইয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পা রেখেছে ২০১০ সালের শিরোপাজয়ীরা। কিন্তু কেন পয়েন্ট ও গোলব্যবধান সমান হওয়া সত্ত্বেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারল স্পেন? এ সংক্রান্ত ফিফার নিয়মটা কী?

আট গ্রুপে ভাগ হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে লড়ছে মোট ৩২ দল। গ্রুপ পর্ব দিয়েই তো আর শেষ হয়ে যাচ্ছে না বিশ্বকাপ। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায়। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপরা জায়গা পাবে শেষ ষোলোতে।

প্রতিটি গ্রুপে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দলটি হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। শীর্ষস্থানে থাকা দলের চেয়ে পয়েন্ট কম পাওয়া দলটা রানার্সআপ। কিন্তু ভজঘটটা লাগবে যখন দেখা যাবে সেরা দুই বা তিন দলেরই পয়েন্ট সমান। তখন কীভাবে নিষ্পত্তি হবে, প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

উত্তরটা অবশ্য এতটা কঠিনও নয়। অধিক জয় নিয়ে পয়েন্টসংখ্যা বেশি থাকলে তো ভালই। যদি হয়ে যায় সমান পয়েন্ট তবে সবার আগে বিবেচনা করা হবে গোল পার্থক্য। যে কয়টা গোল দেওয়া হয়েছে তাঁর চেয়ে হজম করা গোল বিয়োগ দিলেই বেরিয়ে পড়বে গোল পার্থক্য।

যদি গোল পার্থক্যও থাকে সমতায়, তবে দেখতে হবে কারা প্রতিপক্ষের জালে গোল দিয়েছে বেশি। গতকাল সোমবার রাতে গ্রুপ ‘বি’-র লড়াইয়ে পর্তুগাল থেকে এই গোল দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থেকেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছে স্পেন।

কিন্তু যদি গোল দেয়ার ক্ষেত্রেও দুই দল থাকে সমান-সমান, তবে? তাহলে খুঁটিয়ে দেখা হবে, কোন দল বেশি পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলেছে, দেখা হবে লাল ও হলুদ কার্ড সংখ্যা। যাদেরটা কম হবে তাঁরাই এগিয়ে থেকে যাবে পরের রাউন্ডে।

এইসব বিষয়গুলোতেই যদি থাকে সমতাতে শেষ হয়, তবে নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় রাউন্ড ছেড়ে দিতে হবে ভাগ্যের ওপর। অর্থাৎ, টস করেই নিষ্পত্তি করা হবে কারা খেলছে শেষ ষোলোতে।