নেইমারের নৈপুণ্যে ব্রাজিলের জয়
কোস্টারিকার বিপক্ষে আগের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন ৮২ মিনিটের সময়। ওই সামান্য সময়ে তেমন কিছু করতে পারেননি নেইমার। পরের ম্যাচেও দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে প্রথম একাদশে রাখেননি ব্রাজিল কোচ দুঙ্গা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নেমে বার্সেলোনা তারকাই বড় জয় উপহার দিয়েছেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। নেইমারের দুই গোলের ওপরে ভর করে এক প্রীতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ‘সেলেসাও’দের অন্য গোল দুটি হাল্ক ও রাফিনিয়ার।
urgentPhoto
ফক্সবরোর জিলেট স্টেডিয়ামে প্রথম গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ব্রাজিলকে। নবম মিনিটে দুজন মার্কিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন উইলিয়ান। স্বাগতিকদের গোলরক্ষক ব্র্যাড গুজান দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। দ্বিধাগ্রস্ত গুজানের হাতে লেগে বল এসে পড়েছিল হাল্কের পায়ে। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি হাল্কের (১-০)।
প্রথমার্ধের পুরোটা ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গোল আর হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে উইলিয়ানের জায়গায় মাঠে নেমেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেন নেইমার। ৫১ মিনিটে ডেভিড লুইজের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়া নেইমারকে ফেলে দিয়েছিলেন মার্কিন ডিফেন্ডার জিওফ ক্যামেরন। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। পেনাল্টি থেকে বল জালে পাঠিয়েছেন নেইমারই (২-০)।
৬৪ মিনিটে লুকাস মৌরার দুর্দান্ত পাস থেকে ব্যবধান ৩-০ করার কৃতিত্ব রাফিনিয়ার। তিন মিনিট পর মৌরার আরেকটি চমৎকার পাস ধরেই দলের চতুর্থ ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। ইনজুরি সময়ে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে দারুণ এক শটে যুক্তরাষ্ট্রের সান্ত্বনাসূচক গোলদাতা ড্যানি উইলিয়ামস। তবু কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানের অধীনে মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের পাশে দাঁড়িয়েছে এই ম্যাচ। ২০১২ সালে ব্রাজিল আর গত বছর আয়ারল্যান্ডের কাছেও ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ক্লিন্সমানের যুক্তরাষ্ট্র।