মেসির শেষ মুহূর্তের গোলে আর্জেন্টিনার মুখরক্ষা
মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সে কী অদ্ভুত বৈপরীত্য! গত শুক্রবার এক প্রীতি ম্যাচে বলিভিয়াকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার রানার্সআপরা। অথচ মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) সেই আর্জেন্টিনাই আরেকটি প্রীতি ম্যাচে হারতে বসেছিল মেক্সিকোর কাছে। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টাইনরা শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে। এর মধ্যে লিওনেল মেসির সমতাসূচক গোলটি এসেছে প্রায় শেষ মুহূর্তে।
২০০৪ সালের পর মেক্সিকানদের কাছে কখনো হারের লজ্জায় পড়তে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। তবে টেক্সাসের এ টি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামে প্রায় ৮৩ হাজার দর্শকের সামনে হারতে বসেছিল জেরার্দো মার্তিনোর শিষ্যরা।
১৯ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি বক্সের মধ্যে রাউল জিমেনেজকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মেক্সিকো। তা থেকেই ম্যাচের প্রথম গোল করেন হাভিয়ের হার্নান্দেজ। ৭০ মিনিটে হেক্টরে হেরেরার লক্ষ্যভেদে ব্যবধান দ্বিগুণ হলে হারের শঙ্কা চেপে ধরে আর্জেন্টিনাকে।
তবে আবারো মেসির চমক-জাগানো নৈপুণ্য রক্ষা করেছে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ৮৫ মিনিটে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়া এজেকিল লাভেজ্জির ক্রস থেকে ব্যবধান ২-১ করেন সার্জিও আগুয়েরো। ৮৯ মিনিটে ‘আলবিসেলেস্তে’দের সমতাসূচক গোলটি এসেছে মেসি-আগুয়েরো ‘কম্বিনেশনে’। আগুয়েরোর চতুর এক ফ্রিকিক বুক দিয়ে নামিয়ে নিচু শটে মেক্সিকোর গোলরক্ষককে বোকা বানিয়েছেন চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে এটা মেসির ৪৯তম গোল। আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে (৫৬ গোল) ছাড়িয়ে যেতে আর হয়তো বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না বার্সেলোনা তারকাকে।
কোনোরকমে ড্র করলেও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মার্তিনো। খেলা শেষে আর্জেন্টাইন কোচের মন্তব্যেই তা পরিষ্কার, ‘মেক্সিকো গোল করলেও আর্জেন্টিনাই ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা অনেক সুযোগ পেলেও সেসব কাজে লাগাতে পারিনি।’