জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার
জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়ারা জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। বেশ হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১ ওভারের মধ্যেই পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। অর্ধশতকের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জেপি ডুমিনি।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই চাপের মুখে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম ওভারে জোড়া ধাক্কা দিয়েছিলেন লঙ্কান অফস্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়। এক ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন ওপেনার হাশিম আমলা ও এইডেন মার্করামের উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে তখন জমা হয়েছিল মাত্র ৩১ রান। তবে তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয়টা ভালোমতোই সামাল দেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। দুজনেই সাজঘরে ফেরার আগে খেলেছেন ৪৭ রানের ইনিংস। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়াদের জয়। শেষ পর্যায়ে ৩২ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দ্রুতই দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন জেপি ডুমিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন এই মারমুখী প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ৯ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৩৬ রান জমা করতে সাজঘরে ফিরেছিলেন শ্রীলঙ্কার শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে কিছুটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান কুশাল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা।
দলের ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও কুশাল খেলেছেন আগ্রাসী ক্রিকেট। ৭২ বলে ৮১ রানের লড়াকু ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। আর ৩০ বলে ৪৯ রান করেছেন থিসারা পেরেরা। এ দুই পেরেরা ছাড়া বলার মতো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি অন্য কোনো লঙ্কান ব্যাটসম্যান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন কাগিসো রাবাদা ও তাবরিজ শামসি। দুজনেই নিয়েছেন চারটি করে উইকেট।