টি-টোয়েন্টি সিরিজে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
টেস্টে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর একদিনের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে ২০০৯ সালের পর এই সিরিজ জয়, বাংলাদেশ চোখ রাখতেই পারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের দিকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরে তাদের শক্তিশালী ভার্সন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ফিরে পেতে চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দল বেশ শক্তিশালী। ক্রিস গেইল বিশ্রামে থাকলেও দলের টপঅর্ডারে আছেন এভিন লুইস ও আন্দ্রে ফ্লেচার। সঙ্গে প্রতিপক্ষের ঘাম ঝরানোর জন্য থাকছেন কার্লোস ব্রাফেট, রোভম্যান পাওয়েল, ফিরে আসা আন্দ্রে রাসেল এবং চোট থেকে সেরে ওঠা মারলন স্যামুয়েলস। শাডউইক ওয়ালটন এবং দিনেশ রামদিনের হাতেও প্রচুর শট আছে। স্যামুয়েল বদ্রি, শেলডন কটরেল, অ্যাশলি নার্স, কিমো পল এবং কেসরিক উইলিয়ামসদের সঙ্গে নিয়ে বোলিং আক্রমণকে অপ্রতিরোধ্য করতে চাইবেন রাসেল এবং ব্রাফেট। যদিও কটরেলের তৃতীয় একদিনের খেলার বেমানান বোলিং পারফরমেন্স ভাবাতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপও বেশ শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ। একদিনের সিরিজে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রান পেয়েছেন। কিন্তু সাব্বির রহমান এবং মোসাদ্দেক হোসেনের মতো ক্রিকেটাররা রান খরায় ভোগার ব্যাপারটি দলের অভিজ্ঞদের ওপর নির্ভরশীলতাকেই প্রমাণ করে। একদিনের ম্যাচে ডাগ-আউটে থাকা লিটন দাসের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলে আরিফুল হক এবং সৌম্য সরকার যোগ দিয়েছেন।
পেস বোলিং আক্রমণে যথারীতি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে নেতৃত্ব দিবেন রুবেল হোসেন, আবু হায়দার ও আবু জায়েদ। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু এবং সম্প্রতি ভালো ফর্মে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে একাদশে কে থাকবেন তা নিয়ে ভাবতে হতে পারে বাংলাদেশ দলকে।