এশিয়া কাপে কি খেলবেন সাকিব?

Looks like you've blocked notifications!

গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে আঘাত পান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের আগেই সেই আঙুলে অস্ত্রোপচার করাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। ওয়ানডে এবং সাকিবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্টে সিরিজ হারার বিমর্ষতা কাটিয়ে উঠেছে। দলের সবার মতো এই টাইগার ক্যাপ্টেনও খোশ মেজাজে ছিলেন এবং সাংবাদিকদের তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

দেশে ফিরে সাকিব বলেন, ‘ফিজিও বলতে পারবেন আমার হাতের অবস্থা কী। আপনারা জানেন যে আমাকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। কোথায় করানো যেতে পারে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমার মনে হয়, যত দ্রুত করা সম্ভব তত ভালো।’

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়া কাপ শুরু। অক্টোবর ও নভেম্বরে পরপর রয়েছে স্বাগতিক হিসেবে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ। বিপিএল শুরু হওয়ার কথা জানুয়ারিতে এবং এতসব ব্যস্ততা মাথায় রেখেই সাকিব এশিয়া কাপের আগে অস্ত্রোপচার করাটাকে স্বাভাবিক মনে করছেন। সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, অস্ত্রোপচার করে ফেলা উচিত, কারণ আমি সম্পূর্ণ ফিট না হয়ে মাঠে নামতে চাই না। তাই এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার করা স্বাভাবিক।’ 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, ‘শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবকে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হয়েছে। অস্ত্রোপচার হলে সাকিবকে ছয় থেকে সাত সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’

চোট থেকে সেরে উঠতে কিছু সময় লাগবে, তাই হয়তো সাকিবকে আসন্ন এশিয়া কাপে দেখা নাও যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্বাগতিক হিসেবে খেলার পর সাকিব থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাঝমাঠ থেকে ইনজুরির জন্য সাকিবকে উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারেননি। পরে অবশ্য তিনি মার্চে অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে মাঝপথে এসে দলে যোগদান করেন।