জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে অভিষেকেই গোল রোনালদোর

Looks like you've blocked notifications!

তুরিনের বাইরে একটা ছোট্ট শহর ভিল্লার পেরোসা। সেই শহরের বাসিন্দাদের খুব বেশি সৌভাগ্য হয় না বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেলার। সেখানে যখন খেলতে এসেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো বিশ্বসেরা ফুটবলার, তখন দর্শকদের উচ্ছ্বাস যে বাঁধ ভেঙে যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। হলোও তাই। দর্শকরা এতটাই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন যে তাঁদের ‘যন্ত্রণায়’ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা পরিত্যক্তই ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা।

জুভেন্টাস খেলতে গিয়েছিল ভিল্লার পেরোসার একটি দলের বিপক্ষে। এটাই ছিল জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে রোনালদোর অভিষেক ম্যাচ। প্রীতি এই ম্যাচটিতে ৫-০ গোলের জয় পেয়েছে জুভেন্টাস। দলের পক্ষে প্রথম গোলটিও করেছিলেন রোনালদো। শেষ পর্যন্ত মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন দর্শকরা। আর ৭২ মিনিটের মাথায় বিশৃঙ্খলা এতটাই বেড়ে যায় যে শেষমেশ খেলাটাই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা।

জুভেন্টাসের কোচ ম্যাসিমিলানো আলেগ্রি ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘মাঠে কী ঘটেছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার। এখন আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়নস লিগে যতদূর সম্ভব যাওয়া। আর সব সময়ের মতো কোপা ইতালিয়া আর ইতালিয়ান লিগ জয় আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ট্রফিটা আপনাকে কেউ এসে দিয়ে যাবে না। এটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই আদায় করে নিতে হবে।’

পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সম্পর্কে আলেগ্রি বলেছেন, ‘তাঁর সম্পর্কে শুধু এটুকুই বলা যায় যে আমরা মাঠের লড়াইয়ের জন্য দারুণ এক খেলোয়াড় আনতে পেরেছি। আর সবকিছুর ওপরে তিনি একজন দারুণ পেশাদার খেলোয়াড়। তিনি যদি তেমনটা না হতেন, তাহলে যা যা কিছু তিনি অর্জন করেছেন, সেগুলোর কিছুই করতে পারতেন না।’

এবারের মৌসুমের শুরুতে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রোনালদোকে দলে ভিড়িয়েছে জুভেন্টাস। প্রীতি ম্যাচে তাঁর অভিষেকটা হয়েই গেছে। এবার আগামী শনিবার চিয়েভোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে রোনালদোর ইতালিয়ান লিগ জয়ের মিশন।