১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন নাসির জামশেদ
ডোপ টেস্ট বা স্পট ফিক্সিং দুর্নীতির বিভিন্ন ঘটনা যেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের পিছু ছাড়ছে না। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত নাসির জামশেদকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই বাঁহাতি ওপেনারকে আজীবন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক দায়িত্বে আসার অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়।
লাহোরে পিসিবির আইনজীবী তাফাজ্জুল রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু মামলায় জয়লাভ করলেও আপনি খুশি হতে পারবেন না। এটা এ রকমই একটা মামলা। কারণ, একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
পিএসএলের দ্বিতীয় আসরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত জামশেদকে জাতীয় অপরাধ সংস্থা গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে জামিনে আছেন। তবে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর তাঁকে নিবিড় পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জামশেদকে দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ‘স্পট ফিক্সিং’ মামলায় অসহযোগিতার জন্য এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। যার ফলে তিনি এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিলেন।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পিসিবি তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি দুর্নীতিবিরোধী কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। এপ্রিলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। এরপর পিসিবি একটি বিবৃতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির তত্ত্বাবধানে তিন সদস্যের একটি দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল তৈরি করে। এই ট্রাইবুন্যালের সদস্যরা হলেন—অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফজল-ই-মিজান চৌহান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহজাইব মাসুদ ও সাবেক পাকিস্তানি পেসার আকিব জাভেদ।
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে শারজিল খান, খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরফান, শাহজাইব হাসান ও মোহাম্মদ নেওয়াজের ওপর বিভিন্ন মেয়াদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এবার সে তালিকায় যুক্ত হলেন নাসির জামশেদ। এত বড় নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনি ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।