হয়েছে কী রোনালদোর?
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে দলে নেওয়ার পর যেমন জুভেন্টাসের ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি দলে এসেছে নতুন উদ্যম। তবে কোথায় যেন সুর কেটে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। অন্তত সিরি ‘এ’ লিগের তিনটি ম্যাচ এই কথাই বলছে।
প্রথম ম্যাচে সিয়েভোর বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পায় জুভেন্টাস। সেখানে কোনো গোল পাননি রোনালদো। দ্বিতীয় ম্যাচেও লাজিওর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় জুভেন্টাস। সেই ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটিতে মানজুকিচকে অ্যাসিস্ট করেন রোনালদো। পার্মার বিরুদ্ধে সর্বশেষ ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় জুভেন্টাস। কিন্তু সে ম্যাচেও কোনো গোল পাননি বা অ্যাসিস্টও করতে পারেননি রোনালদো।
অথচ রোনালদোর সাবেক সতীর্থ রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কারিম বেনজেমা দিন যত গড়াচ্ছে, মেলে ধরছেন নিজেকে। সতীর্থ রোনালদো জুভেন্টাসে চলে যাওয়ার পর শুধু বেনজেমা নয়, নিজেকে নজরে এনেছেন গ্যারেথ বেলও। লা লিগার সর্বশেষ গোলদাতার টেবিলে সবার উপরের দুটি নামই যে কারিম বেনজেমা এবং গ্যারেথ বেলের! বেনজেমা করেছেন চার গোল, কোনো অ্যাসিস্ট করেননি। এদিকে আরেক রিয়াল সতীর্থ গ্যারেথ বেল তিনটি গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করে এগিয়ে রেখেছেন নিজেকে। তাই বলা চলে, রোনালদো প্রাক্তন সতীর্থদের তুলনায় একটু পিছিয়েই আছেন তিনি।
একই অবস্থা দেখা গেছে লিগ ওয়ানের ম্যাচগুলোতে। সর্বোচ্চ চারটি গোল নিয়ে কিলিয়ান এমবাপে এবং বার্সেলোনা ছেড়ে আসা নেইমার প্রথম অবস্থানে থাকলেও নেইমারের চেয়ে একটি অ্যাসিস্ট বেশি নিয়ে প্রথমে আছেন এমবাপে।
নেইমারের পর রোনালদোর মতো একজন তারকা খেলোয়াড়ের রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়া শিরোনাম ছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু জুভেন্টাসের জয়ের পরও শিরোনামে নেই রোনালদো। নতুন ক্লাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বেল-বেনজেমাদের মতো করে সাপোর্ট পাবেন কি না রোনালদো, সেটি খেলার ধরনই বলে দেবে। রোনালদোর ভক্তরা অবশ্যই জুভেন্টাসের একটি রোনালদোময় ম্যাচ প্রত্যাশা করবেন।