সাফের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ ফুটবল

আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা- এবারে এই সাতটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। ফেবারিট হিসেবে বাংলাদেশের নাম না শোনা গেলেও বাংলাদেশকে নিয়ে ভালো কিছু আশা করতেই পারে ভক্তরা।
সদ্য অনুষ্ঠিত কাতারে এশিয়ান গেমসে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ কাতারকে হারিয়ে শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে তলানির দিকে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য এটি যেমন আত্মবিশ্বাস জোগাবে, তেমনি ভক্তরাও আশায় বুক বাঁধতে পারেন। বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে আয়োজিত সাফে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, রানার্স-আপ হয়েছে দুই বার। এ ছাড়া তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মাত্র একবার এবং দুইবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সাফ গেমসে বাংলাদেশের ফলাফল হতাশাজনক। ২০০৯ সালের সাফ গেমসে ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে সেমিফাইনালেই বিদায় নেয় সেবারের আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল দল। আর গত তিন আসরে আফগানিস্তান-ভারত ফাইনালে উঠলেও গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
এবারের আয়োজক বাংলাদেশ। আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৩ সালে জিতেছিল সাফ চ্যাম্পিয়নের খেতাব। এত হতাশার মাঝেও আশাবাদী বাংলাদেশ। কারণ, নতুন ফুটবল কোচ জেমি ডে এর মতে, বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দল এবং সেই সম্ভাবনা তাঁরা কাতারে অনুষ্ঠিত এশিয়াডে জাগিয়েছিল। এ ছাড়া একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ ফটবল দলকে নিজের মতো করে নির্বাচন করেছেন জেমি ডে। ফলে, সেরা ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে কাতারে ভালো খেলায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার পর নিজেদের দুর্বলতা বের করে সমাধান করার সুযোগও পাচ্ছেন।
২০০৯ সালের পর আর ফাইনালের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। তবে ১২তম সাফ গেমসের আয়োজক হিসেবে বাংদেশের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা করতেই পারে ভক্তরা। আগামীকাল ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের সাফ মিশন। সাতবারের বিজয়ী ভারত অবশ্যই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে। তবে একবার করে সাফ জেতা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। মামনুল-ওয়ালিরা চ্যাম্পিয়নশিপের সংখ্যা এক থেকে দুইয়ে নিয়ে আসতে পারেন কি না সেটি সময়ই বলে দেবে।