পরিসংখ্যানে বাংলাদেশই এগিয়ে

Looks like you've blocked notifications!

একসময় ভুটানকে বলেকয়েই হারাত বাংলাদেশ। শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল লাল-সবুজের দল। সে দলটির বিপক্ষে এখন সতর্কভাবে মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সর্বশেষ ম্যাচের ফলাফলের কারণেই সতর্ক মোকাবিলায় নামতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্লে-অফে এই ভুটানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিলেন মামুনুলরা।

অবশ্য সাফের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে। এই পর্যন্ত ভুটানের সঙ্গে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ, লাল-সবুজের দল জয় পেয়েছে চারটিতে, অন্যটি ড্র।

তবে ২০১৬ সালের বাংলাদেশ দলের বর্তমান দলটির অনেক পার্থক্য। সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অসাধারণ সাফল্যই সেটা বলে দেয়। ইন্দোনেশিয়ায় আগামী ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমকে দেয় তারা। প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়ে গেমসের দ্বিতীয় পর্বে ওঠে।

তাই সাফের আগে এক আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের দেখা পাবে ফুটবলপ্রেমীরা, যারা নতুন উদ্যমে মাঠে নামবে।

সাফে বাংলাদেশ দল একবাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে। করাচিতে পরের আসরে হয়েছিল রানার্সআপ। এরপর হতাশায় শুরু। তা ছাড়া গত তিন আসরে তো গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি।

দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষা এবার ফুরাবে কি না, সেটাই এখন দেখার। অবশ্য সাফের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায়। সে ম্যাচে হারে কিছুটা হতাশ হলেও মূল আসরের প্রথম ম্যাচে ভালো কিছু করতেও পারে স্বাগতিকরা।