সাফে বাংলাদেশের যত সাফল্য-ব্যর্থতা

Looks like you've blocked notifications!

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম আসর শুরু হয়েছে ঢাকায়। আয়োজক হিসেবে বরাবরই তুলনামূলক ভালো ফলাফল করে এসেছে বাংলাদেশ। তবে সাফের প্রথম আসর থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্থানের এক ধারাবাহিক চিত্র প্রমাণ করে, অতীতের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবলের বর্তমানের স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

প্রথম সাফ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে। তখন অবশ্য এটি সার্ক গোল্ড কাপ নামে পরিচিত ছিল। সে আসরে অংশ নিয়ে ছিল ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ফলে বাংলাদেশের সাফ মিশন শুরু ১৯৯৫ সালে। সেবারের দক্ষিণ এশীয় গোল্ড কাপে বাংলাদেশ অংশ নিয়ে শক্তিশালী নেপালের কাছে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে এই গেমসের নামকরণ করা হয় ‘সাফ গোল্ড কাপ’ হিসেবে এবং কাঠমান্ডুর এই আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। তবে ভারতে সাফের চতুর্থ আসরে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করে এবং স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়। এর চারবছর পর বাংলাদেশ ফুটবলের উত্থান ঘটে আয়োজক এবং সেই আসরের বিজয়ী হিসেবে, ২০০৩ সালে। এই স্বর্ণসময়ে বাংলাদেশ ফুটবলের উন্নয়ন আশানুরূপ ছিল বলা চলে। ২০০৫ সালে পরবর্তী আসরে পাকিস্তানে সেই ভারতের বিপক্ষেই হেরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। এর পরবর্তীতে ২০০৮, ২০০৯, ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের সাফ গেমস ছিল শুধু বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্প। শুধু ২০০৯ সালের সাফ ফুটবল কাপের আয়োজক বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছিল। তবে সেটিই ছিল সর্বশেষ সাফল্য।

এবারের সাফ ফুটবলের আয়োজক বাংলাদেশের মিশন শুরু হচ্ছে উদ্বোধনী দিনে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। কাতারে আয়োজিত এশিয়াডে শেষ ১৬ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এবারের সাফ গেমসে আরেকটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে পারবে কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে।