এশিয়া কাপের জন্য কতটা ফিট সাকিব?

Looks like you've blocked notifications!

সাকিব আল হাসানের এশিয়া কাপে খেলার মতো ফিটনেস না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘সাকিব এশিয়া কাপ খেলার ক্ষেত্রে ২০-৩০ শতাংশ ফিট, এটি সে মিডিয়াকে না বলে বোর্ডকে জানাতে পারত।’

সাকিব গত জানুয়ারিতে বাঁ হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে চোট পান। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট এবং পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে ফিরে আসার পরই অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও তাঁকে এশিয়া কাপের ১৬ জনের দলে রাখা হয়েছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাকিবকে এশিয়া কাপের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের টুর্নামেন্টের সময় অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন। তবে দুটি সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, এত কম ফিটনেস নিয়ে কোনো বড় খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারেন না। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। 

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘সে আমাদের অস্বস্তিকর ও বিব্রত পরিস্থিতিতে ফেলেছে। খেলোয়াড় বাছাই চলাকালীন বা তার আগে-পরে, কখনোই সে আমাদের কিছু বলেনি। সে যে ২০-৩০ শতাংশ ফিট, এটি আমাদের আগে জানালে ভালো হতো। সে বলেনি যে সে খেলতে পারবে না।’ তবে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং স্টিভ রোডস মন্তব্য করেন, অর্ধেক ফিট থাকলেও সাকিব এশিয়া কাপ খেলতে সমর্থ।

মাশরাফি বলেন, ‘যেহেতু সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলেছে, আমি নিশ্চিত সে তাঁর নিজের আসল অবস্থা জানে। তাঁর পারফরমেন্স সেখানে জয়ের ক্ষেত্রে খুব কাজে লেগেছে। তাঁর বর্তমান ফিটনেস এশিয়া কাপ খেলার জন্য যথেষ্ট। আমরা এই ব্যাপারে কিছু করতে পারি না। সে যেহেতু খেলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি নিশ্চিত সে তাঁর শতভাগ দেবে।’ রোডসের মতে, সাকিবের বিবৃতি যেকোনো কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, সে ২০-৩০ শতাংশ ফিট। সে তাঁর চেয়েও অনেক বেশি ফিট। এ রকম বিবৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত, সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেমন অবস্থায় ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করেছে, সে ঠিক সেই রকমই আছে। তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, এটা সবাই জানে। সে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এশিয়া কাপ বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ৬০-৭০ শতাংশ ফিট থাকলেও সাকিব অনেক ভালো খলতে পারত।’

সাকিব এখন অবকাশযাপন করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সেখান থেকেই আরব আমিরাতে যোগ দেবেন। মমিনুল হককে তাঁর বিকল্প হিসেবে রাখা হবে। তবে অনুশীলন ক্যাম্পে সাকিবের অনুপস্থিতি তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন রোডস। তাঁর মতে, ‘দলের ওপর সাকিবের অবকাশ কোনো প্রভাব ফেলবে না। ড্রেসিং রুমে সাকিব তাঁর সতীর্থদের কাছ থেকে অনেক সম্মান পায়। সাকিব ভালো ক্রিকেট খেলে, এটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সবাই জানে। সে শুধু ভালো ব্যাটিং নয়, ভালো বোলিং, ফিল্ডিংও করে এবং অধিনায়ক হিসেবেও ভালো। সে সব ধরনের ক্রিকেটেই এ রকম খেলে।’

তাই সাকিবকে মাঠে রাখতে যেকোনো সুবিধা দিতে রাজি বিসিবি। স্টিভ রোডস জানিয়েছেন, ‘সাকিবের সতেজ এবং সেরা খেলা মাঠে পেতে আমরা তাকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দিয়েছি। এটি তাকে আরো ভালো খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করবে। সে নবীন অবস্থায় যথেষ্ট অনুশীলন করেছে। সে এর পরে টেস্টে প্রতি ইনিংসে ৫০ ওভার বল করেছে। তার জন্য সবসময় অনুশীলন করা জরুরি নয়। সে ক্যারিবীয়ান দ্বীপে দেখিয়েছে, অনুশীলন ছাড়াও কীভাবে সে একজন মানসম্মত খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে পারে।’