যে অভিযোগ রুপুর বিরুদ্ধে
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে আছেন সত্যজিত দাস রুপু। একই সাথে আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্বেও আছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের কাছে শোচনীয়ভাবে ২-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এর পরই দল নির্বাচনে প্রভাবিত করার অভিযোগ আসে রুপুর বিরুদ্ধে। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
সেদিন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অবস্থা দেখেই মনে হয়েছিল, এই দল দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খেলার মতো সেরা দল নয়। কারণ দলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে সাইড বেঞ্চে রেখে খেলানো হয়েছে শহীদুল আলম সোহেলকে। যেখানে সম্প্রতি শেষ হওয়া কাতারে এশিয়ান গেমসে আশরাফুল ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল, সেখানে শহীদুল আলম সোহেল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের প্রস্তুতি ম্যাচেই মাঝমাঠ থেকে আসা লম্বা একটি শটে গোল হজম করেন। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি অন্যভাবে ঘটেছে নেপালের বিপক্ষে। গোলকিপারের ভুল হতেই পারে, বল হাত ফসকে যেতেই পারে। তবে এসব ভুলের সম্ভাবনা নিয়ে আর যাই হোক, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামা অমূলক। সেখানে দলের সেরা গোলকিপারের না খেলার ক্ষেত্রে অনেকেই ভাবছেন, সত্যজিত দাস রুপুর হাত রয়েছে। কারণ শহীদুল আলম সোহেল যে আবাহনীর খেলোয়াড়! আর এভাবেই নাকি আবাহনীর খেলোয়াড়দের দলে নেওয়ার জন্য পক্ষপাতিত্ব করে আসছেন তিনি। মূলত আবাহনী এবং জাতীয় দল- দুটিরই ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকার কারণেই রুপুর প্রতি সন্দেহের তীর বেশি।
অবশ্য এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রুপু। এ ব্যাপরে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় নির্বাচনে একজন কোচকে প্রভাবিত করতে পারি না। সে এখতিয়ার আমার নেই। সোহেলকে দলে নিয়েছেন কোচই। এখানে আমাকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না।’
তবে যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ ফুটবলকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিল ভক্তরা, সাফে গ্রুপ পর্ব না পেরোনোয় একটু হলেও ভাটা পড়েছে তাতে। আয়োজক হিসেবে এই প্রথম গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দল শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে, এই প্রত্যাশাই করেন ভক্তরা।