ভারতের বিপক্ষেও হতাশার হার বাংলাদেশের
ব্যাটসম্যানরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বলা যেতে পারে একরকম ব্যর্থই হয়েছেন। তাই সম্ভব হয়নি শক্তিশালী ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ ছুড়ে দেওয়া। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ গড়েছিল মাত্র ১৭৩ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে অনুমিত ভাবে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ধোনি-রোহিতরা।
আজ শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশকে সহজেই সাত উইকেটে হারিয়েছে ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মার অসাধারণ একটি ইনিংসের কল্যাণে তাদের জয়টা আরো সহজ হয়ে যায়।
লক্ষ্য ছোট, দুই ভারতীয় ওপেনার তাই শুরুটা সতর্কভাবেই করেছিলেন। শিখর ধাওয়ান ৪৭ বলে ৪০ রানের একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত ফিরেন আম্বাতি রাইডুও।
এরপরই সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে রোহিত দলকে দ্রুত জয়ের দিকে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ভারতীয় অধিনায়ক খেলেছেন ১০৪ বলে ৮৩ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। যাতে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার মার রয়েছে। ধোনিও ৩৭ বলে ৩৩ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন।
মাশরাফি, সাকিব ও রুবেল একটি করে উইকেট নিয়েও ভারতের জয়ের পথে মোটেও বাধা হতে পারেননি।
এর আগে বাংলাদেশ টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় মাত্র ১৫ রানের মাথায় ওপেনার লিটন দাসের (৭) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও (৭)। আশা জাগিয়েও দ্রুত ফিরে যান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (১৭)।
কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তিনিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, ৪৫ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন ৯ রানে আউট হয়েছিলেন।
এরপর মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করছিলেন এই বিপর্যয় এড়াতে। কিন্তু তিনিও খুব একটা সফল হতে পারেননি, ৫১ বলে ২৫ রান করে আউট হন। দ্রুত ফিরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও (১৬)।
কিন্তু অষ্টম উইকেটে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুটা দৃঢ়তা দেখান। তাঁরা ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে একটা সম্মানজনক সংগ্রহের পথ দেখান।
মিরাজ ৫০ বলে ৪২ এবং মাশরাফি ৩২ বলে বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে দলের সংগ্রহ খুব বেশিদূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রবিন্দ্র জাদেজা ২৯ রানে চারটি এবং ভুবনেশ্বর কুমার ৩২ ও জসপ্রিত বুমরাহ ৩৭ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়ে মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস নামান।