কেন এই ব্যাটিং ব্যর্থতা?

Looks like you've blocked notifications!

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ঠিক একইভাবে গতকাল শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই ধস নামে ব্যাটসম্যানদের ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যান মাশরাফিরা। সহজ লক্ষ্য পার করতে মাত্র ৩৬.২ ওভার খেলতে হয়েছে ভারতকে। সাত উইকেট হাতে রেখেই সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নেয় ভারত। তবে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের হারের কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। থিতু হতে পারেননি কোনো ব্যাটসমানই।

বাংলাদেশ ক্রিকেটদলকে চোট কতটা ভোগাতে পারে, সেটিরই প্রমাণ এই এশিয়া কাপ। তামিম ইকবাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচ খেলেই ইনজুরির কারণে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং নিয়মিত ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে ফর্মে ছিলেন না তাঁর সঙ্গী ওপেনারদের কেউই। তাই দলে স্থান পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো পারফর্ম করা লিটন দাস এবং আয়ারল্যান্ড সফরে ভালো খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্তও ফিল্ডিং অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন। মুশফিক পাঁজরের হাড়ে চোট নিয়েই খেলছেন। সাকিবের অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল এশিয়া কাপের আগেই। তবুও এশিয়া কাপের জন্য হাতে ইনজুরি নিয়েই মাঠে নেমেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ভূমিকা অনেক বেশি থাকে। তবে এবার মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, লিটন দাসের মতো খেলোয়াড়রাও জ্বলে উঠতে পারেননি গত দুই ম্যাচেই। গত ম্যাচে তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজের ৪২ এবং মাশরাফি বিন মুর্তজার ২৬ রানের কল্যাণে কোনোমতে সম্মান বাঁচায় বাংলাদেশ। উইকেটের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পেসার ও স্পিনাররা প্রায় সমান উইকেট পেয়েছেন। বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমার দুজনেই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। বাকি চারটি উইকেট পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়ার বদলে দলে আসা রবীন্দ্র জাদেজা।

তবে কি ভারতীয় বোলারদের বুঝতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা? উত্তর জানার জন্য পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান পড়েছেন লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে। বাকিরা সবাই হয়েছেন ক্যাচ আউট। নিজেদের ভুলের কারণে এবং ভুল শট নির্বাচনের কারণে উইকেট খুইয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। অন্যদিকে চাপে রাখতে পেরে অনেকটা স্বচ্ছন্দে বল করে উইকেট পেয়েছেন ভারতীয় বোলাররা। তাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেটের কৃতিত্ব ভারতীয় বোলারদেরই বলা চলে।

পরপর দুই ম্যাচে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোর থেকে এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠতে হলে বাকি দুটি ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তান ম্যাচের সময়েও নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলে ভারতের এবং পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে ভাবছিলেন কোচ স্টিভ রোডস। সেই পরিকল্পনা ভারতের বিপক্ষে কাজে লাগেনি। তবে সামনের ম্যাচগুলোতে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতা কতটুকু কাটিয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ, সেটিই দেখার বিষয়।