অল্পের জন্য রক্ষা পেল পাকিস্তানও
এশিয়া তো বটেই, ক্রিকেট বিশ্বেও নতুন চমকের নাম আফগানিস্তান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ক্রিকেট দল হিসেবে তাঁরা ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে বড় দলগুলোর। এশিয়া কাপেও নিজেদের প্রমাণ করেছে আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাকে দাঁড়াতেই দেয়নি তাঁরা। তবে জয়ের ধারা সুপার ফোরের পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে হারিয়েছে আফগানরা। সুপার ফোরের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা গড়িয়েছে। খুব সহজে জয় পায়নি পাকিস্তান।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাসমতউল্লাহ শাহিদির ৯৭ এবং আসগার আফগানের ৬৭ রানে ভর করে ২৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তানের বিপক্ষে। একই মাঠে নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫৫ রান করতে সমর্থ হয়েছিল তাঁরা। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে আফগানিস্তান। তবে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন তাঁরা। পাকিস্তানের হয়ে ইমাম-উল-হক ৮০ রান এবং বাবর আজম ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তবে তাঁরা আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। তখন দলকে টেনে নিয়ে যান শোয়েব মালিক একাই। প্রতিটি বল বুঝে খেলেছেন তিনি। ফলে কোনো অঘটন ঘটেনি পাকিস্তানের। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল দশ রানের। স্ট্রাইকে থাকা শোয়েব মালিক প্রথম বলে কোনো রান সংগ্রহ করেননি। তবে তার পরের দুই বলে একটি ছয় ও একটি চারের মারে দলকে তিন বল এবং তিন উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মালিক। একইসাথে নিজের ৪২তম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।
গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য দাপট দেখাতে পারেনি আফগান বোলাররা। স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন ঠিকই, তবে ম্যাচ হাতছাড়া করেনি পাকিস্তান। ইমাম ও বাবর আজম দলকে জয়ের দিকে শক্ত জুটি গড়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে দুজনই চার রানের ব্যবধানে আউট হয়ে গেলেও শোয়েব মালিক দলকে টেনে নিতে থাকেন। দলের রানের প্রয়োজনে যেকোনোভাবে রান বের করেছে পাকিস্তান। রশিদ খান পেয়েছেন তিন উইকেট এবং স্পিনার মুজিব-উর-রহমান পেয়েছেন দুই উইকেট। একটি রান আউট এবং একটি বোল্ড আউটসহ মাত্র সাত উইকেট সংগ্রহ করতে সমর্থ হন আফগান বোলাররা।
নিজেদের সামর্থ্য জানান দিয়েই এশিয়া কাপে নেমেছে নবীন দল আফগানিস্তান। সামনে আছে ভারত এবং বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ দুটিও খুব সহজ হবে না তাদের জন্য। তবে প্রতিপক্ষের জন্যও যে তারা ম্যাচগুলো কঠিন করে তুলতে প্রস্তুত, সেটির প্রমাণ দিয়েছে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে। তাই সমীহ করে খেলার জন্য প্রতিপক্ষদের ইঙ্গিত দিতে সফল হয়েছেন আফগানরা। সামনের ম্যাচগুলোতে কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।