শুরুর ধাক্কা সামলে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান
শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে বেশ চাপেই ফেলছিল বাংলাদেশ। বোলারারও ভালোই বল করছিলেন। তাই আশা জেগে উঠে, এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে সাফল্য পাওয়ার। অবশ্য সেই চাপটা অব্যাহত রাখতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। তাই শুরুর ধাক্কা সামলে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
আজ রোববার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তান ৩০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করেছে। হাশমতউল্লাহ শহিদী ৩৫ ও আসগর আফগান ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
যদিও দলীয় ২০ রানের মাথায় ইহসানুল্লাহ জানাতের (৮) উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। ছয় রানের ব্যবধানে রহমত শাহ রান আউট হয়ে ফিরে গেলে কিছুটা বিপাকে পড়ে দলটি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও হাশমতউল্লাহ ৬৩ রানের জুটি গড়ে এই বিপর্যয় কিছুটা সামলান। অবশ্য মাহমুদউল্লাহর শিকার হয়ে শেহজাদ (৫৩) হাফসেঞ্চুরি করেই সাজঘরে ফিরলে আবার কিছুটা চাপে পড়ে টেস্ট ক্রিকেটে নবীন সদস্য দলটি।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪৯ রান গড়ে। অবশ্য তাদের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় দলীয় ১৬ রানের মাথায় ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর (৬) উইকেট হারিয়ে বসে। দুই রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন ওয়ানডাউনে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও (১)।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস তৃতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান। দুজনে মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। পরে অবশ্য লিটন ৪১ এবং মুশফিক ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন। দ্রুত ফিরে যান সাকিব আল হাসানও (০)।
দলীয় ৮৭ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে দল যখন কিছুটা চাপে পড়ে তখন রুখে দাঁড়ান অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৮ রানের চমৎকার একটা জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান তাঁরা।
মাহমুদউল্লাহ ৮১ বলে ৭৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে গেলেও ইমরুল একপাশ আগলে রাখেন। তিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেন ৭২ রান। অধিনায়ক মাশরাফি ৯ বলে ১০ রান করে আউডট হলেও মেহেদী হাসান মিরাজ চার বলে পাঁচ রানে ছিলেন অপরাজিত।
গতকাল হঠাৎ দলের সঙ্গে যোগ দেন ইমরুল। আজ একাদশে সুযোগ পেয়ে তা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। মুমিনুল হকের জায়গায় নেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এই ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েন পেসার রুবেল হোসেন। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়েছে।
আফতাব আলম ৫৪ রানে তিনটি এবং রশিদ খান ৪৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েও বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ার ক্ষেত্রে খুব একটা বাধা হতে পারেননি।