মেসির আরেকটি পেনাল্টি মিসের আক্ষেপ
এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। প্রায়ই তাঁকে এমন অবিশ্বাস্য গোল করতে দেখা যায়, যা বিস্ময়ের জন্ম দেয় ফুটবল-বিশ্বে। সেসব ‘অতিমানবীয়’ গোলের বর্ণনা দিতে গিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেন ধারাভাষ্যকাররা। কিন্তু চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার কোনো এক অজানা কারণে বারবার নষ্ট করছেন পেনাল্টি থেকে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ। রোববার লেভান্তের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচেও পেনাল্টি মিস করেছেন বার্সেলোনা তারকা। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৭ বার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
এই ব্যর্থতাই আক্ষেপ বাড়িয়ে দিচ্ছে মেসি-ভক্তদের। লেভান্তের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর শেষ মুহূর্তে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ একটি গোল করেছেন। তবে ৭৫ মিনিটে ওই পেনাল্টি মিস না করলে এবারের ফুটবল-মৌসুমে প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতে পারতেন মেসি।
এ মৌসুমে এ নিয়ে তিনটি পেনাল্টির মধ্যে মাত্র একবার লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছেন মেসি। আগের ব্যর্থতা ছিল গত ২৩ আগস্ট, অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে লা লিগায় বার্সার প্রথম ম্যাচেই।
এখন পর্যন্ত পেশাদার ক্যারিয়ারে ৮১টি পেনাল্টি কিক নিয়ে ১৭টি মিস করেছেন মেসি। সফলতার হার ৭৯ শতাংশ। মেসির মতো দক্ষ ফুটবলার কেন এত পেনাল্টি মিস করেন, তা যেন ফুটবল-বিশ্বের একটা রহস্য!
মেসি সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি মিস করেছেন লা লিগায়। স্পেনের প্রিমিয়ার লিগে তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেছেন ছয়বার। স্পেনের দ্বিতীয় সেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা দেল রেতে পাঁচবার। চ্যাম্পিয়নস লিগে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি তিনবার, আর স্প্যানিশ সুপার কাপে একবার। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়েও দুবার পেনাল্টি মিস করেছেন মেসি। দুটোই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে।
বার্সেলোনার বহু সাফল্যের পেছনে মেসির দুর্দান্ত নৈপুণ্যের অবদান। কিন্তু তাঁর পেনাল্টি মিসের ‘বদভ্যাস’ কাতালানদের জয়বঞ্চিতও করেছে বেশ কয়েকবার। ২০১১ সালে লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে মেসি পেনাল্টি মিস করার পর বার্সেলোনাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল গোলশূন্য ড্রয়ের হতাশা নিয়ে। পরের বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বার্সা। সেই ম্যাচেও পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি কাতালানদের সেরা তারকা।
২০১৩ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফিরতি লেগে আবার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মেসি। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে সেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করেছিল স্বাগতিক বার্সা। তবে প্রথম লেগ আতলেতিকোর মাঠে ১-১ গোলে ড্র করায় ‘অ্যাওয়ে’ গোলের নিয়মে শিরোপা-উৎসবে মেতে উঠেছিল ন্যু ক্যাম্প।