বড়দের পর ছোটদেরও স্বপ্নভঙ্গ ভারতের কাছে হেরে

খুব বেশি দিন হয়নি এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল মাশরাফিরা। এবার যেন সেই পথেই হাঁটল দেশের তরুণ দল! তবে ফাইনাল নয়, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে সেই টিম ইন্ডিয়া যুব দলের বিপক্ষে মাত্র ২ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হলো টাইগার যুবাদের।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে ভারত মাত্র ১৭২ রানে ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল । তবে এই মামুলি রান তাড়া করতে নেমে শামীম হোসেন ও আকবর আলী ছাড়া আর কেউ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় ৪৬.২ ওভারে ১৭০ রানে সবকটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৬৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। টপঅর্ডারের মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ২৫ রান করে কিছুটা চেষ্টা করেন। তবে ভারতীয় বোলার মোহিত জাঙ্গরা ও সিদার্থ দেসাই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলে আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লাল-সবুজের তরুণরা।
অবশ্য ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হাল ধরেন শামীম ও আকবর। তাদের জুটি থেকে আসে ৭৪ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। তারা যখন দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় ভারতীয় স্পিনার হার্স ত্যাগি স্বাগতিক শিবিরে আঘাত হানেন। তুলে নেন আকবরের উইকেটটি। আয়ুশ বাদোনির ক্যাচে আকবরকে ব্যক্তিগত ৪৫ ও দলীয় ১৩৯ রানে ফেরান। ৬৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আকবর।
এই উইকেটের পর আরও একবার ধস নামে বাংলাদেশ শিবিরে। সর্বোচ্চ রান করা শামীমও তাঁর জুটিকে হারিয়ে মেজাজ হারান। অজয় গঙ্গাপুরামের বলে সেই বাদোনির ক্যাচেই প্যাভিলিয়নমুখী হন শামীম। ৮১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৯ করেন শামীম।
শেষদিকে মৃত্যুঞ্জয়ী চৌধুরী, রাকিবুল হাসান ও মিনহাজুর রহমান চেষ্টা করলেও জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশ যুবাদের।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে জাঙ্গরা ও দেসাই সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট পান। দুটি উইকেট পান ত্যাগি।
টসে জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও বাংলাদেশি বোলারদের তোপে পড়েন। শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয়ী, রিশাদ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়ের সম্মিলিত বোলিংয়ে ১৭২ রানেই তারা গুটিয়ে যায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে ওপেনার ইয়াশসাভি জিসভালের ব্যাট থেকে। সামির চৌধুরী করেন ৩৬। এছাড়া ৩৫ রান করেন অনুজ রাওয়াত।
শরিফুল ১০ ওভার বল করে এক মেডেনসহ মাত্র ১৬ রানে ৩টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া দুই উইকেট করে পান মৃত্যুঞ্জয়ী, রিশাদ ও তৌহিদ। একটি উইকেট লাভ করেন মিনহাজুর।
বাংলাদেশ এর আগে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেও শক্তিশালী পাকিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল।