এবার উজ্জ্বল এনামুল, মারকুটে সৌম্য

Looks like you've blocked notifications!

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শেষ দিনে ড্র হয়েছে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ম্যাচ এবং রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচ। অন্য ম্যাচে ঢাকা বিভাগ চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২১৪ রানে এবং ঢাকা মেট্রোপলিস এক ইনিংস ও ৪১ রান হাতে রেখেই জয় পেয়েছেসিলেটের বিপক্ষে । তবে ড্র এর দিনেও উজ্জ্বল ছিলেন খুলনা বিভাগের এনামুল হক, তুষার ইমরান ও সৌম্য সরকার। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই ড্র পর্যন্ত খেলা গড়িয়েছে খুলনা। অন্যদিকে রংপুর বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংসে শতকের দেখা পেয়েছেন নাঈম ইসলাম।

রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার হয়ে প্রথম ইনিংসে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। তুষার ইমরানের শতকে ভর করে মাত্র ২১০ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় খুলনা। রাজশাহী নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫৫২ রান করতে সমর্থ হয়, যেখানে শতকের দেখা পান জহরুল ইসলাম এবং মিজানুর রহমান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ওপেনার এনামুল হকের শতকের পর ১৫৯ রান করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তুষার ইমরান। ১১৩ রানের ইনিংসটি এনামুল সাজিয়েছেন ১৫টি চারের মারে। এমনকি সাত নম্বরে নেমেও উজ্জ্বল সৌম্য সরকার। তাঁর অপরাজিত ১০৩ রানে রয়েছে ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কা। মাত্র ১২০ বল খেলেই এই রান করেন সৌম্য। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ড্র হয়েছে ম্যাচ।

রংপুর এবং বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আরিফুল হকের দ্বিশতকের সুবাদে ৫০২ রান করে রংপুর। জবাবে ফজলে মাহমুদের ১৯৫ এবং সোহাগ গাজীর ১২৮ রানে ভর করে ৪৫৮ রান করে বরিশাল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নাঈম ইসলামের শতকের পর ড্র মেনে নেয় দুই দলই।

ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৩৮ রান এসেছিল। একই ফাঁদে পড়ে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম। সবকটি হারিয়ে নিজেদের প্রথম ব্যাটিং ইনিংসে ১৪২ রান করতে সমর্থ হয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নেমে ঢাকা রনি তালুকদারের ২৩৮ এবং আব্দুল মজিদের ১৩২ রানে ভর করে ৩৮৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৬৭ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ঢাকার হয়ে পাঁচ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু। ২৭ ওভার বল করে দ্বিতী ইনিংসে মাত্র ২৫ রান দিয়ে পেয়েছেন আটটি মেডেন ওভার। ফলে ২১৪ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা।

অন্যদিকে সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই ঢাকা মেট্রোপলিস করে ৪২৬ রান। তবে সেটিকে দুই ইনিংসেও টপকাতে পারেনি সিলেট। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৫ রানে অলআউট হয়ে ফলো অনে পড়ে তাঁরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও মূল রান থেকে ৪১ রান দূরে থাকতেই মাত্র ১৭০ রানে আবারো অলআউট হয় সিলেট। প্রথম ইনিংসে সিলেটের ব্যাটিং ধস নামিয়েছেন আরাফাত সানি। চার উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আসিফ হোসেন তুলে নেন সিলেটের পাঁচ উইকেট।