আবার অনিশ্চয়তার সামনে ভারতের ক্রিকেট
আইপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি আর সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানোর অভিযোগ ওঠায় টালমাটাল হয়ে পড়েছিল ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন। ভীষণ সংকটজনক পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ফিরেছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। দক্ষ হাতে পরিস্থিতির সামাল দিয়ে ভারতের ক্রিকেটকে সম্মানের পথে ফেরাতে শুরুও করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে আবার অনিশ্চয়তার সামনে বিসিসিআই। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর বোর্ডের নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে গোলমালের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ডালমিয়া। এই প্রথম কোনো বিসিসিআই সভাপতি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় মারা গেলেন। ভারতীয় ক্রিকেট এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়েনি বলেই অনেক সংশয় আর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি কারো-কারো আশঙ্কা, ‘অস্থিরতা’র সুযোগ নিয়ে আবার বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদে বসার চেষ্টা চালাতে পারেন বিতর্কিত ক্রিকেট প্রশাসক শ্রীনিবাসন।
আর তা হলে শ্রীনিবাসনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা যেতে পারে বিসিসিআইয়ের বর্তমান সচিব অনুরাগ ঠাকুরকে। ভারতীয় ক্রিকেটে একমাত্র ডালমিয়াই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ‘বিসিসিআইকে আগামীতে কঠিন পথ পারি দিতে হতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস।
শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পন আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের ‘প্রিন্সিপাল’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। মায়াপ্পনের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠার পর সন্দেহের তীর ধেয়ে যায় শ্রীনিবাসনের দিকেও। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন ‘শ্রীনি’। তবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এখনো বহাল আছেন শ্রীনিবাসন।
কিছুদিন আগে অনুরাগ ঠাকুর অভিযোগ করেছিলেন, শ্রীনিবাসন নাকি বিসিসিআই কর্মকর্তাদের পেছনে ‘গোয়েন্দা’ লাগিয়েছেন! সব কিছু মিলিয়ে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা।
হাতে বেশি সময়ও নেই ভারতের ক্রিকেট-কর্তাদের। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে হবে বিসিসিআইকে।