এবার দৌড়ের ট্র্যাকে নয়, ফুটবলের মাঠে ঝড় তুলেছেন জ্যামাইকান অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে বোল্ট অনুশীলন করেছেন এর আগে। এমনকি বুরসিয়া ডর্টমুন্ডেও অনুশীলন করেছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সে। গতকাল শুক্রবার মেরিনার্সের হয়ে ম্যাকআর্থার সাউথ ওয়েন্টের বিপক্ষে মাঠে নামেন এই ফরোয়ার্ড। প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে গত আগস্টে মেরিনার্সের হয়ে প্রীতি ম্যাচে অভিষেক হয় তাঁর। তবে সেই ম্যাচে গোল না পেলেও এবার জোড়া গোল পেয়েছেন তিনি।  বোল্টের জোড়া গোলের সুবাদে তাঁর দল জিতেছে ৪-০ ব্যবধানে।

গত বছর ট্র্যাক থেকে অবসর নেওয়ার পরই বোল্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফুটবলে বাকি ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি। সেটিকে বাস্তবে রূপ দিয়ে প্রাথমিকভাবে সফলও হয়েছেন বোল্ট। এই ম্যাচে প্রথম একাদশে নামলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পাননি বোল্ট। দ্বিতিয়ার্ধে শুরুর দিকেই চমক দেখিয়েছেন বোল্ট। ডি-বক্সের কাছাকাছি একটি পাস পেয়েই দৌড় দিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকেন বোল্ট। ডিফেন্ডারকে অসাধারণভাবে টেক্কা দিয়ে গোলে শট করেন তিনি। গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে সেই বল জালে জড়াতেই সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে উদযাপন করেছেন বোল্ট।

মাত্র ১৩ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়েছেন বোল্ট। এ ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ভূমিকা আছে বলতে হয়। ভারসাম্য হারিয়ে গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডার যখন ডি-বক্সে পড়ে আছেন, তখন বল নিয়ে একটু সামনে এগিয়েই জালে বল ঠেলে দিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বোল্ট।

গোল পেয়ে আনন্দিত বোল্টও। তিনি জানিয়েছেন, ‘নিজের প্রথম ম্যাচে দুই গোল করা অনেক বড় কিছু, আনন্দের ব্যাপার। এতদিনের পরিশ্রমের ফল আজ পেলাম। তবে আরো ভালো করার লক্ষ্যে আমি কাজ করছি।’

এমনকি দলের কোচের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বোল্ট। এই ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, ‘তিনি বলেছিলেন, অনেক সুযোগ পাব। হয়তো দুইটা কাজে লাগবে, তিনটা লাগবে না। তবে আমি যেন সুযোগের অপেক্ষা করি। আমার টাচ ভালো। তবে দৃষ্টি আরো ভালো করতে হবে। দৌড়েও উন্নতি করতে চাই আমি।’

এখনো বোল্টকে নিজেদের পেশাদার খেলোয়াড়দের তালিকাভুক্ত করেনি সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স। তবে গতকালের পারফরমেন্সের পর হয়তো অভিষেকের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন বোল্ট। আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগ। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানেই মেরিনার্সের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হবে বোল্টের।