এনামুলের শতক না পাওয়ার আক্ষেপ
চোটের কারণে বিশ্বকাপের মাঝপথে দেশে ফেরার পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে এনামুল হক। ভারত সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে সুযোগ পেলেও রানের দেখা পাচ্ছিলেন না। ব্যর্থতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত জ্বলে উঠলেও একটা আক্ষেপ থাকছেই এনামুলের। মহীশূরে কর্ণাটকের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচে মাত্র ১১ রানের জন্য শতক করতে পারেননি।
এনামুলের ৮৯ রানের সুবাদে দ্বিতীয় দিনশেষে ‘এ’ দলের দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর ১৮৮/৩। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে অতিথিরা এগিয়ে আছে ৫৯ রানে। লিটন দাস ৩৭ ও সৌম্য সরকার ২৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ০, ৩৪ ও ১ রান করা এনামুল এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫ রান করেছেন। তবে বুধবার সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে জ্বলে উঠেছেন দু্র্দান্তভাবে। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শতকের দিকে। কিন্তু উদিত প্যাটেলের বলে ক্যাচ দিয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে এনামুলকে। ৮৭ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটা সাজানো ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায়।
এনামুল জ্বলে উঠলেও তাঁর ওপেনিং-সঙ্গী রনি তালুকদার আবারও ব্যর্থ। ওয়ানডে সিরিজে ১৩, ০ ও ৯ রানের ব্যর্থতার পর এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছিলেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই। দ্বিতীয় ইনিংসে একটু ‘উন্নতি’ হয়েছে রনির। এবার তাঁর সংগ্রহ ১৫ রান। অধিনায়ক মুমিনুল হকও (২২) ব্যর্থ হয়েছেন আবার।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হতাশায় কেটেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। আগের দিন ১০০ রানে কর্ণাটকের ৬ উইকেট ফেলে দিয়ে লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন মুমিনুল-নাসিররা। তবে উল্টো ভারতের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়নরাই ভালো লিড নিয়েছে। ‘এ’ দলের প্রথম তিনদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে কর্ণাটকের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২৮৭ রানে। স্বাগতিকরা তাই ১২৯ রানের লিড পেয়েছে।
‘এ’ দলের সামনে বাধার প্রাচীর গড়ে দাঁড়িয়েছিলেন শিশির বাভানে। ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে শতকের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ৮৮ রান করা বাভানেকে মধ্যাহ্ন-বিরতির কিছুক্ষণ আগে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ‘এ’ দলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেনের। ঠিক তার আগের ওভারে জগদীশ সুচিতের (৪১) ফিরতি ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন শুভাগত হোম। ম্যাচে এই অফস্পিনারের এটা চতুর্থ উইকেট।
বাভানে-সুচিতের সপ্তম উইকেট জুটি ১২৭ রান উপহার দিয়েছে কর্ণাটককে। ২২৭ রানে ৮ উইকেট হারালেও উদিত প্যাটেলের (৪০) দৃঢ়তা ভালো লিড এনে দিয়েছে স্বাগতিকদের। শুভাগত ছাড়াও চার উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। একটি করে উইকেট জুবায়ের ও পেসার আল আমিন হোসেনের।
মঙ্গলবার প্রথম দিনে মাত্র ১৫৮ রানে শেষ হয়ে গেছে ‘এ’ দলের প্রথম ইনিংস। শুভাগত (৫৫) ও লিটন (৫০) ছাড়া আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। আর মাত্র একজনই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পেরেছেন— ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাকলাইন সজীব (১৫*)। ৪৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে কর্ণাটকের সেরা বোলার প্রসিধ কৃষ্ণ।