দারুণ কীর্তিতে উজ্জ্বল ইমরুল
যেন একটা জেদ চেপেছিল ইমরুল কায়েসের মধ্যে, ভালো কিছু করার তাড়না। নিজেকে প্রমাণ করা, শুধু মাঝে মধ্যেই নয়—দলে খেলতে চান নিয়মিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সেটা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন তিনি। দুই সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিতে নির্বাচকদেরই বার্তা দেননি, গড়েছেন দারুণ একটি কীর্তিও।
ঢাকায় প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পর, চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শতকের কাছাকাছি গিয়েও ৯০ রান করে আউট হন ইমরুল। অবশ্য তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরিটা করেই ছেড়েছেন। খেলেছেন ১১৫ রনের দারুণ একটি ইনিংস।
এক সিরিজে ধারাবাহিকভাবে রান করে ইমরুলের মোট সংগ্রহ ৩৪৯ রান। যাতে একটি রেকর্ডও রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে যেকানো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তামিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩১২ রান। এবার তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ৩৬৫ রান করেছিলেন। যদিও সেটি কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়।
ইমরুলের এই সেঞ্চুরিটি অন্য কারণেও আলাদা হতে পারে। দলের ইনিংসে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই একজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে গেলে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়ান তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজনে মিলে ২২০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান। সেই পথ ধরেই জয়ের উল্লাস করে লাল-সবুজের দল। এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে সেরা জুটি।
এদিন ইমরুলের সঙ্গে সৌম্যও দারুণ একটি সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ৯২ বলে ১১৭ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। আর ইমরুল হন সিরিজ সেরা।